বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 459 বার পঠিত
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নিরালসভাবে কাজ করছে সরকার। তারপরও বর্তমানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব পরিচালক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তারা অনলাইনের ব্যবহার না জানার কারণে ব্যাংক পরিচলানা-সংক্রান্ত আইন, বিধি বিধান, সার্কুলার অনলাইনে দেখতে পারেন না। তাই তাদের এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে অনলাইন ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা হয়।
সভার কার্যপত্রে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির কারণগুলো চিন্হিতকরণ ও প্রতিকার নির্ধারণে কর্মশালার আয়োজন করতে হবে। একইসঙ্গে ব্যাংক পরিচালকদের ব্যাংক পরিচলানা-সংক্রান্ত আইন, বিধি বিধান, সার্কুলার বিষয়ে অনলাইনের ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ প্রবর্তন করতে হবে।
ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন গবেষকেরা ধারণা করেছিলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে তাদের ৬০ শতাংশ নাগরিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নেবে। সেদিকেই এগোচ্ছে দেশটি। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সারা বিশ্বই ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে উৎসাহী। আর ২০১৯ সালের শেষে এসে বাংলাদেশের নাগরিক তো দূরের কথা ব্যাংকের পরিচালকদের অনলাইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হচ্ছে। এটা বিস্ময়কর যে, ডিজিটাল বাংলাদেশে ব্যাংক পরিচালকরা জানেন না অনলাইনের ব্যবহার!
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রকল্প পরিদর্শন বা পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত সব পরিদর্শন প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর পাঠাতে হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর স্ব স্ব ওয়েবসাইটে শদ্ধাচার সেবাবক্স হালানাগাদকরণ করতে হবে।
সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতি ত্রৈমাসিক কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর পাঠাতে হবে।
Posted ১২:২০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed