মঙ্গলবার ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

অর্থপাচাররোধে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ডাটা ব্যাংক দরকার

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   565 বার পঠিত

অর্থপাচাররোধে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ডাটা ব্যাংক দরকার

বাণিজ্যকেন্দ্রীক অর্থপাচাররোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার অপেক্ষায় না থেকে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ডাটা ব্যাংক গড়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে এ ডাটা ব্যাংক অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারে তার উদ্যোগও নিতে হবে। এছাড়া অর্থপাচাররোধে ব্যাংকের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অন্যান্য সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘অ্যাড্রেসিং ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং ইন বাংলাদেশ: অ্যান অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক এক গবেষণা কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস. এম. মনিরুজ্জামান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা।

স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন বিআইবিএম’র অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। তিনি ব্যাংকিং কার্যক্রমে মানিলন্ডারিং ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, বাণিজ্যকেন্দ্রীক অর্থপাচাররোধে এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। একটি গাইড তৈরি করছে যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সারা বিশ্বে এখন অর্থপাচার একটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশও এর আওতার বাইরে নয়। এ সমস্যা মোকাবিলায় সব সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বিআইবিএম’র চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জনশক্তি নেই। এদিকে নজর দিয়ে ব্যাংকারদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর নির্ভর না করে প্রত্যেক ব্যাংকের নিজস্ব ডাটা ব্যাংক করতে হবে। যা অন্যান্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, অর্থপাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ব্যাংক এবং সব স্টেকহোল্ডারের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। ব্যাংকের এডি শাখাগুলোকে সুষ্ঠু মনিটরিং করতে হবে। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল দিতে হবে। ব্যাংকারদের ব্যাংকিংয়ের পাশপাশি ট্রেডের খুঁটিনাটি জানাতে হবে। বাণিজ্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণের ব্যাপারে বিদেশি সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ক্রেডিট রিপোর্ট ব্যাংকারদের ভালোভাবে জানতে হবে। প্রত্যেক ব্যাংক এলসি খোলার ডাটাবেজ করলে অর্থপাচাররোধে গুরুত্বপূর্ণ আইন করার সময় ব্যাংকিং অপারেশনে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকটি বিবেচনায় রাখতে হবে।

ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহক এবং ব্যাংকার সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অর্থপাচারের পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (ট্রেনিং) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।

Facebook Comments Box

Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২১ মে ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।