নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১:২২ অপরাহ্ণ
আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য ছয়টি প্রস্থাবনা করেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডের উপর কেটে রাখা উৎসে করতে চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিষ্পত্তি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডের আয়কর ২০ শতংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, এসএমই বোর্ডের কোম্পানিগুলোকে ৫ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত হারে আয়কর প্রদানের সুযোগ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাথে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট বৈঠকে ডিএসইর পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।
ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানো প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির আয় কর কমানো, এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কর ছাড়, বন্ডের সুদজনিত আয়কে করমুক্ত রাখা, ডিভিডেন্ডে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো।
বাজেট প্রস্তাবনায় তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির কর হার কমিয়ে তালিকা-বহির্ভূত কোম্পানির করহারের ব্যবধান ১২.৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে ডিএসই। বর্তমানে এই কর হারের ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ।
বর্তমানে ব্যাংক-বীমা, টেলিকম ও তামাক খাতের কোম্পানি ছাড়া তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানিগুলোকে ২০ শতাংশ হারে আয়-কর দিতে হয়। ডিএসই এই কর-হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত স্বল্পমূলধনী কোম্পানির তালিকাভুক্তির সময় থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে।
ডিএসইর প্রস্তাবনায় সুকুকসহ সব ধরনের বন্ডের মুনাফা বা সুদ আয়কে কর অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে শুধু জিরো-কূপন বন্ডে করমুক্ত সুবিধা আছে।
এছাড়াও, ডিএসইর অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে আছে স্টক ডিলারদের ক্ষেত্রে মূলধনী মুনাফা কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার।
বাংলাদেশ সময়: ১:২২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
bankbimaarthonity.com | saed khan