বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 998 বার পঠিত
এতো প্রাণহানি ঘটলেও ভয়াবহ আগুন পাশের মসজিদকে স্পর্শ করেনি। অর্থ রাস্তায় পড়ে আছে একটি মোটরসাইকেলের ধ্বংসাবশেষ! চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মোটরসাইকেলেটির টায়ার ও বসার সিট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। লোহার রডগুলো পুড়ে কোথাও লালচে আবার কোথাও কালো হয়ে গেছে। পাশেই দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে একটি প্রাইভেট গাড়ি। এতবেশি জ্বলেছে যে এটি কোন রঙয়ের গাড়ি ছিল বোঝাই যাচ্ছে না।
আগুনে পুড়ে রাস্তার একপাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলেও কয়েক গজ ব্যবধানে রাস্তার আরেকপাশে চুড়িহাট্টা বড় মসজিদ একদম অক্ষত। এই মসজিদ থেকেই সেদিন আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটাররা কয়েকঘণ্টা টানা কাজ করেছেন।
চুড়িহাট্টার ঘটনাস্থলে কৌতূহলী মানুষকে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়ির ধ্বংসাবশেষ আরেকদিকে অক্ষত মসজিদ নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ধ্বংসস্তূপ দেখতে এখনও কৌতূহলী অসংখ্য মানুষ ভিড় করছেন।
ভবনটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে সাইনবোর্ডে লেখা আছে। তারপরও শহরের দূর-দূরান্ত থেকে কৌতূহলী মানুষ ভবনটি দেখতে ছুটে আসছেন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেও বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা ভিড় করছেন। বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড বসানো হলেও নানা কথা বলে মানুষের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা দৃশ্যমান। গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সৌখিন মানুষকে মোবাইল ও ক্যামেরায় জায়গাটির ভিডিওধারণ করতে দেখা যায়।
রাজধানীর মিরপুর থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী হাসান নামে এক যুবক জানান, টিভিতে লাইভ দেখে মনটা ভীষণ খারাপ হয়েছিল। আসতে চাইলেও বাবা-মা আসতে দেয়নি। আজ শনিবার কলেজের কথা বলে ঘটনাস্থল দেখতে চলে এসেছেন।
রাজধানীর কলাবাগানের গৃহবধূ জোসনা বেগমসহ কয়েকজন নারী একসঙ্গে এসেছেন। তারা একদিকে ধ্বংসস্তূপ দেখে আঁতকে উঠে বলছিলেন, ‘যে মানুষগুলো পুড়ে মরেছে তারা না জানি কি কষ্ট পেয়ে মরেছে! আরেকজন পাশ থেকে বলতে শোনা যায়, ‘দেখ, আল্লাহর ঘর মসজিদ কিন্তু অক্ষত আছে।’
Posted ৫:২০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed