বিবিএনিউজ.নেট | ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব অর্থ পাচার করা হচ্ছে, তার ৮০ শতাংশই হয়ে থাকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমে। আমদানি করা পণ্যের দাম বেশি এবং রফতানি করা পণ্যের দাম কম দেখিয়ে এসব অর্থ পাচার করা হচ্ছে।
বুধবার বাংলাদেশ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, পাচার করা অর্থের বেশিরভাগ অর্থাৎ, ৮০ শতাংশেরও বেশি বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পাচার হয়।
এতে বলা হয়েছে, আমদানিযোগ্য পণ্য বা সেবার মূল্য বৃদ্ধি করে বিশেষ করে যেসব পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কম (মূলধনী যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, কম্পিউটার সামগ্রী ইত্যাদি বা যেসব পণ্য বা সেবার দাম নির্ধারণ কঠিন) সেসব পণ্য বা সেবা আমদানির মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়ে থাকে। অপরদিকে রফতানি করা পণ্যের মূল্য কম দেখিয়ে অবশিষ্ট অর্থ বিদেশে রেখেও অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে। পাশাপাশি আমদানি করা পণ্যের বিবরণ পরিবর্তন করে বা কোনো পণ্য আমদানি না করে শুধুমাত্র ডকুমেন্টের বিপরীতে মূল্য পরিশোধ করেও অর্থ পাচার হয়ে থাকে। তাছাড়া একই পণ্য বা সেবার একাধিক চালান ইস্যুকরণ, ঘোষণার তুলনায় পণ্য বা সেবা বেশি বা কম জাহাজীকরণের মাধ্যমেও অর্থ পাচার হয়ে থাকে।
বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থপাচার রোধে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) একটি গাইডলাইন্স জারি করেছে। সেই গাইডলাইন্সের আওতায় ব্যাংকগুলো অর্থপাচার রোধে বাণিজ্যভিত্তিক মানি লন্ডারিং ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব গাইডলাইন্স-ম্যানুয়েল প্রস্তুত করে ২০২০ সালের ১০ মার্চের মধ্যে বিএফআইইউতে দাখিল করবে। আগামী বছরের ১ জুন থেকে গাইডলাইন্সগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে প্রতিটি ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed