সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০২৫

‘আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন’

  |   মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   84 বার পঠিত

‘আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, দেশে আর্থিক জালিয়াতিকে প্রতিরোধ করতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জালিয়াতি ও লুটের কয়েকগুণ জরিমানা করতে হবে। একইসাথে জালিয়াতি ও লুটের অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা তথা দুদক, বিএফআইইউ ইত্যাদির সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০২৫’ উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগাগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টি পারপাস হলে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

বিএসইসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনারবৃন্দ, বিএসইসির কর্মকর্তাবৃন্দ, পুঁজিবাজার অংশীজন প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ কর্কমর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক ফোরাম ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনসের (আইওএসসিও) সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ পালন করে আসছে।

আসাদুজ্জামান আরো বলেন, ~বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩’ ও ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯’- এই দুটি আইনকে একত্রিত করে একটি আইন করা উচিত। একইসাথে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিষয়ে বিদ্যমান বিভিন্ন রুলসকে সহজবোধ্য করে একটি জায়গাতে আনা উচিত। এর মাধ্যমে সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইনী প্রক্রিয়ার জটিলতা হ্রাস পাবে।”

তিনি আরো বলেন, “দেশে আর্থিক জালিয়াতিকে প্রতিরোধ করতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জালিয়াতি ও লুটের কয়েকগুণ জরিমানা করতে হবে। একইসাথে জালিয়াতি ও লুটের অর্থ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে এবং প্রয়োজনে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থা তথা: দুদক, বিএফআইইউ ইত্যাদির সাথে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসি কমিশনার মো. আলী আকবর।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জিসান হায়দার এবং আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ইয়াওয়ার সাইদ। প্রেজেন্টেশনটিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির প্রধান ধরণ বা প্রকারসমূহ, জালিয়াতি শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের বিএসইসির ভিত্তিসমূহ, রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক, কঠোর বাজার নজরদারি ও সনাক্তকরণ, এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন, উত্তরণ বা উন্নতির জন্য সুপারিশ এবং বিনিয়োগকারীর অন্তর্দৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রেজেন্টেশনে প্রতারণা ও জালিয়াতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মীর মোশাররফ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রিপন কুমার দেবনাথ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (সিআরও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং ব্যারিস্টার কারিশমা জাহান। প্যানেল আলোচনায় আইওএসসিও ঘোষিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ’ ২০২৫ এর প্রধান বার্তাগুলো তুলে ধরা হয় এবং দেশের বিনিয়োগকারীদের সচেতন ও দক্ষ বিনিয়োগকারীতে পরিণত করার নিমিত্তে বিএসইসি ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন উদ্যোগ, কার্যক্রম ও প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় কীভাবে প্রতারণা এবং জালিয়াতি রোধ করা যায়, কী ধরনের জালিয়াতি বেশি ঘটছে ও সেগুলো থেকে পরিত্রাণের উপায়সমূহ এবং বিনিয়োগকারী বা ক্ষতিগ্রস্তদের কিভাবে ক্ষতিপূরণ করা যায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, “বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩’ ও ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯’- এই দুটি আইনকে একত্রিত করতে কমিশন ইতোমধ্যে কাজ করছে এবং সমস্ত সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত রুলসকে এক জায়গায় আনতেও কাজ চলছে। অনিয়ম ও জালিয়াতি রূখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেই বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বল্পতম সময়ে বিগত সময়ের অনিয়ম ও জালিয়াতি তদন্তে ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছিল। উক্ত কমিটির পেশকৃত ১২টি প্রতিবেদনের মধ্যে কমিশন এরইমধ্যে ৭টি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রাস্টি, কাস্টোডিয়ান ও সম্পদ ব্যবস্থাপক এর ভূমিকা ও দায়িত্বকে আরো সুসংহত করা হচ্ছে এবং তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র পরিচালকদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের জন্য কমিশন কাজ করছে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান।

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ রূখতে বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের সকল ব্রোকারদের অসংশোধনযোগ্য সমন্বিত ব্যাক অফিস সফটওয়্যারের আওতায় এনেছে। তিনি দেশের পুঁজিবাজারে টেকসই উন্নয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়ন এবং উন্নত পুঁজিবাজার গড়তে সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করেন রাশেদ মাকসুদ।

বাংলাদেশে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে পুঁজিবাজারে সম্পৃক্ত করা এবং বিনিয়োগে নিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক্ষেত্রে তাদের জন্য একটি প্রতারণামুক্ত আধুনিক ও সুরক্ষিত পুঁজিবাজার গড়ার উপর জোর দেন তিনি। এছাড়া দেশে সর্বস্তরে বিনিয়োগ শিক্ষা আরো ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Facebook Comments Box

Posted ১:৪৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(1860 বার পঠিত)
বিজ্ঞাপন
(1783 বার পঠিত)
বিজ্ঞাপন
(1439 বার পঠিত)
বিজ্ঞাপন
(1241 বার পঠিত)
Page 1

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।