আব্দুল্লাহ ইবনে মাস্উদ | ০৫ মার্চ ২০১৯ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ
বিভিন্ন ব্যাংক ও সহকর্মীদের থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) প্রভাষ চন্দ্র মল্লিককে চাকুরিচ্যুত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত ৪ মার্চ ২০১৯ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকুরিচ্যুত করা হলো।
জানা যায়, প্রভাস চন্দ্র মল্লিক ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের জুলাই শেষে ১৫টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রভাষ মল্লিকের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৮৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১টি ব্যাংকের ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৬ টাকা কু-ঋণে পরিণত হয়েছিল। এসব ঋণের বেশিরভাগই তিনি নিয়েছিলেন বেতনের বিপরীতে ক্রেডিট কার্ড বা ব্যক্তিগত ঋণ হিসেবে। শুধু ব্যাংক নয়, সহকর্মীদের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিএম প্রভাষ মল্লিককে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক স্টাফ রেগুলেশন ২০০৩ এর ৪৫(৫) ধারার আওতায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে জানা যায়, চাকুরিবিধি অনুসরণ না করায়, তার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছিল। যথাযথ জবাব না পাওয়ায় বিধি অনুযায়ী তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। প‚র্ব অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন না। তবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক অনুমোদন ছাড়াই ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়ে পড়েছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটির কোনো কর্মকর্তা যদি কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চান, তাহলে বাংলাদেশে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু অভিযুক্ত এ কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো অনুমতি নেননি।
বাংলাদেশ সময়: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed