| ৩০ জানুয়ারি ২০১৯ | ৪:১৫ অপরাহ্ণ
সরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে এবং বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের লাগাম টেনে মুদ্রানীতি ঘোষণা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন’২০১৯) মুদ্রানীতি সম্বলিত “মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট” উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এসময় মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, অর্থবছরের প্রথমার্ধের প্রকৃত গতিধারা বিবেচনায় নিয়ে জুন ২০১৯ শেষে সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি আগেকার ৮.৫ ও ১৬.৮ শতাংশ থেকে কিছুটা সংশোধন করে যথাক্রমে ১০.৯ ও ১৬.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে।
দ্বিতীয়ার্ধের মূদ্রানীতিতে রেপো ও রিভার্স রেপো সুদ হার ৬.০ এবং ৪.৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
এছাড়া, অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাশিত জোরালোতর বিনিয়োগ কর্মকান্ডের সূত্র আমদানির সম্ভব্য বৃদ্ধির কারণে নীট বৈদেশিক সম্পদের (এনএফএ) ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি প্রথমার্ধের প্রক্ষেপিত ১.৬ শতাংশ (নেগেটিভ) থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৪ শতাংশে (নেগেটিভ) দাঁড়াবে বলে প্রক্ষেপিত হয়েছে, যা বাজার তারল্যের ওপর এবং বৈদেশিক মুদ্রি রিজার্ভ স্থিতির উপর বর্ধিত চাপ আনতে পারে।
গভর্নর আরো বলেন, মুদ্রানীতির প্রথম মূখ্য উদ্দীষ্ট ভোক্তামূল্যষ্ফীতি পরিমিত রাখার লক্ষ্য অর্জনে প্রথমার্ধের সাফল্য বেশ সন্তোষজনক। জিন ২০১৮ শেষের ৫.৭৮ শতাংশ গড় বার্ষিক ভোক্তামূল্যষ্ফীতি ডিসরম্বর ২০১৮ শেষে ৫.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট পরামর্শক আল্লা মালিক কাজমী,বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস. কে. সুর চৌধুরী, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা মূদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যান্তরীণ ঋণ, অভ্যান্তরীণ সম্পদ, মুদ্রা সরবরাহ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরে বাংলাদেশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্কিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি বছর দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed