
বিশেষ প্রতিবেদক | রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 703 বার পঠিত
গত এক বছরে ১২ লাখ ৪৯ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে দেশের জীবন বীমা খাতের কোম্পানিগুলো। খাতের ৩৬ টি কোম্পানির মধ্যে ৩৫ টি কোম্পানির সরবরাহকৃত অনিরীক্ষিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২৪ সালে কোম্পানিগুলোর ১২ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৮ টি বীমা পলিসি তামাদি হয়েছে। ২০২৩ সালে তামাদির পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৮১৫। সে হিসাবে বিগত বছরের তুলনায় পলিসি তামাদির সংখ্যা কমেছে।
আইডিআরএ’র তথ্যানুযায়ী, জীবন বীমা খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০২৪ সালে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পলিসি তামাদি হয়েছে ৬ হাজার ১৫৯ টি, আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ হাজার ৬১৪ টি, আস্থা লাইফের (তামাদি নেই), বায়রা লাইফের ১৪০৬ টি, বেঙ্গল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৬,৬২৩ টি, বেস্ট লাইফের ৭৬৬৭, চার্টার্ড লাইফ ১৪৩১৩, ডেল্টা লাইফের এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৬৮ টি, ডায়মন্ড লাইফের ৯৫৩ টি, ফারইস্ট লাইফ ১১১৩৫ টি, গোল্ডেন লাইফ (তামাদির তথ্য সরবরাহ করেনি), গার্ডিয়ান লাইফের ১৮৫৭৯ টি, হোমল্যান্ড লাইফের ২৯০৫২ টি, যমুনা লাইফের ৩৪৪৩ টি, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ২১৩২৮ টি, এলআইসি বাংলাদেশের ৫৫২ টি, মেঘনা লাইফের ৩৮০৯৯ টি, মার্কেন্টাইল ইসলামি লাইফের ১৬০৯৬ টি, মেটলাইফ বাংলাদেশের ৭৮৮০৭ টি, ন্যাশনাল লাইফের ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৪৫ টি, এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৮৯৯ টি, পদ্মা ইসলামি লাইফের ২৭৪৭ টি, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৯ টি, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬২১৫৮ টি, প্রাইম ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৩৫৫৫ টি, প্রোগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৩১৩৮ টি, প্রোটেক্টিভ ইসলামি লাইফের ১৯৭৪ টি, রূপালী লাইফের ১১২২১ টি, সন্ধানী লাইফের ২১৭৩৬ টি, শান্তা লাইফের (তামাদি নেই), সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৮ টি, সানফ্লাওয়ার লাইফের ১৭৯৮২ টি,
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৪৭৫৫ টি, স্বদেশ লাইফের ১৬৮২১ টি, ট্রাস্ট ইসলামি লাইফের ৫২৪০ টি এবং জেনিথ ইসলামি লাইফের ৮৮৫৬ টি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন কারণে গড়ে বছরে সাড়ে ১২ লাখের বেশি বীমা পলিসি তামাদি বা বাতিল হচ্ছে। অর্থাৎ, পলিসির কিছু প্রিমিয়াম বা কিস্তি দেওয়ার পরও মানুষ বীমা থেকে ছিটকে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ ও খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্বিতীয় বর্ষ থেকে কমিশন হার কম হওয়ায় গ্রাহকের কাছে এজেন্টদের না যাওয়া, গ্রাহকের কাছে ভুল তথ্য প্রদান, প্রিমিয়াম দিতে গ্রাহকের অনীহা, বীমার সুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং গ্রাহকের আর্থিক অবস্থার অবনতির কারণে বীমা পলিসি তামাদি হচ্ছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালে জীবন বীমা খাতের পলিসি তামাদি হয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৯০২টি, ২০২১ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৪টি, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩৬টি এবং ২০২৩ সালে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৮১৫টি।
Posted ৮:১৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ মে ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy