
বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 704 বার পঠিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া চাকরিতে যোগ দিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজীতে পুড়িয়ে হত্যার শিকার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
৬ মে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট (ক্যাশ) অফিসার পদে কাজে যোগ দিলে তাকে ব্যাংকটির সোনাগাজীর ডাকবাংলো শাখায় পদায়ন করা হয়।
চাকরি পেয়ে মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উনারা বোন নুসরাতের ওপর নৃশংস ঘটনায় আমাদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমার বোনে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমার পরিবার নয় দেশবাসী নুসরাত হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান নুসরাতের মা শিরিন আক্তার, বাবা একেএম মুসা, বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান। প্রধানমন্ত্রী নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সান্তনা ও সমবেদনা জানিয়ে নুসরাতের ভাইকে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নিয়োগপত্র তুলে দেন। একইসঙ্গে নুসরাতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরীকে নুসরাতের ছোট ভাই রায়হানের পড়াশোনার প্রতি খেয়াল রাখতে বলেন। নিজাম চৌধুরী স্বাচ্ছন্দ্যে শুধু পড়াশোনা নয়, ভবিষ্যতে রায়হানের চাকরিরও নিশ্চয়তা দেন।
গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ আটজনের নামোল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারভূক্ত ৮ আসামীসহ এখন পর্যন্ত ২১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই, মুল পরিকল্পনাকারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ১০ জন।
মামলা পিবিআইয়ে হস্তান্তরের পর এখন পর্যন্ত মামলার এজহারভুক্ত আট আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মুল পরিকল্পনাকারী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাসহ হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ।
Posted ৩:২৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed