বিবিএনিউজ.নেট | ২৫ মে ২০১৯ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এবারের বাজেট হবে একটি স্মার্ট বাজেট। বাজেট বক্তব্যের আকার গতানুগতিক বিশাল সাইজের থাকছে না। হবে সংক্ষিপ্ত এবং টু-দ্য পয়েন্ট। তাই বলে অর্থের অংকে বাজেটের আকার ছোট হবে না বরং যে কোনো সময়ের তুলনায় এটি হবে রেকর্ড বাজেট।
শুক্রবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন বাজেটে থাকবে নতুন উদ্যোগ। আগামী বাজেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালনের প্রতিফলন থাকবে। তবে বেশি মনোযোগ থাকবে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে।
ধানের দাম নিয়ে সমস্যা বিষয়ে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে এ বছর আমরা অনেক বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে পেরেছি। আমাদের যেমন বেশি উৎপাদন হয়েছে, আশপাশের দেশেও খাদ্যশস্যের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। বাইরে যদি চাহিদা থাকত, তাহলে আমরা রফতানি করতে পারতাম। তবে বাইরেও সেভাবে চাহিদা নেই। চলতি বছর ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। কিন্তু এখন চালের দাম আন্তর্জাতিক বাজারেও কম। যার কারণে ধানের দাম নিয়ে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের কৃষককে বাঁচাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে চাল আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে না পারলেও নিরুৎসাহিত করে সীমিতকরণ করতে পারি। এরই মধ্যে সে লক্ষ্যে আমরা চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিদ্যমান শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশে উন্নীত করেছি। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়েও চাল রফতানির পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সবজির উৎপাদনও আমাদের অনেক হচ্ছিল। কৃষকরা দাম পাচ্ছিল না এবং এগুলো পচে যাচ্ছিল। আমরা রফতানির ব্যবস্থা করলাম। রফতানি খরচ দিতে পারে না বলে আমরা সেখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। ভর্তুকি দিয়ে আমরা সেই কাজটি করছি।
মুস্তফা কামাল আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে কৃষি খাতে প্রধানমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি নেয়ার যে সাহস করেছিলেন, তখন বিষয়টি সত্যিই অকল্পনীয় ছিল। যে বছর যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে, সেগুলোও রফতানির ব্যবস্থা করা হবে। ন্যায্য দামটা কৃষক পাবেন।
তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় মেঘনা সেতু ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গোমতী নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় গোমতী সেতু খুলে দেয়া হচ্ছে, যা কুমিল্লাবাসীর জন্য তথা বাংলাদেশের ‘লাইফ লাইন’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী সবার জন্য অত্যন্ত সুখবর। আর এই সেতু দুটি খুলে দিলে ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা অনেকটা যানজটমুক্ত এবং স্বস্তিদায়ক হবে আশা করা যায়। আর আমাদের অর্থনীতিকে করবে আরো গতিশীল।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed