শুক্রবার ২৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বিবিএনিউজ.নেট   |   শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   1377 বার পঠিত

এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এবি ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ বর্তমান ও সাবেক ১১ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার পুলিশের বিশেষ শাখার সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে দুদক। এবি ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে সিটিসেলের নামে ৩৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম চিঠিটিতে সই করেছেন।

যাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ফিরোজ আহমেদ ও সৈয়দ আফাজ হাসান উদ্দিন এবি ব্যাংকের বর্তমান পরিচালক,আর বাকি আটজন সাবেক পরিচালক। অন্যরা হলেন- মো. আব্দুল আউয়াল, মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসেন, শিশির রঞ্জন বোস, ফাহিমুল হক, মো. মেজবাহুল হক, জাকিয়া শাহরুখ খান রুনা, মিশাল কবির ও বি বি সাহা রায়।

অবশ্য এরা কেউ-ই আলোচিত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। কিন্তু তাদেরকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মনে করছে দুদক।

ইমিগ্রেশন পুলিশে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে,“অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে দেশত্যাগে করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।”

এর আগে গত ১০ জুন এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান এর চেয়ারম্যান,তার স্ত্রী নাছরিন খানও একজন পরিচালক। মোরশেদ খান এ বি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান ছিলেন।

সিটিসেলের নামে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৮ জুন মোরশেদ খান, তার স্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলায় সিটিসেলের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর চৌধুরী,সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী,এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, কাইজার আহমেদ চৌধুরী এবং এম ফজলুর রহমানকেও আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়,আসামিরা সিটিসেলের নামে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করার জন্য এবি ব্যাংক মহাখালী শাখায় আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই না করেই সিটিসেলের নামে কোনো জামানত ছাড়াই ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করে এবি ব্যাংক। পরবর্তীতে এ ব্যাংক গ্যারান্টির ভিত্তিতে আটটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সিটিসেলের ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া হয়। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় সুদসহ এ অর্থ দাঁড়ায় ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা।

দেশের সবচেয়ে পুরনো সেলফোন অপারেটর সিটিসেল লাইসেন্স পায় ১৯৮৯ সালে। সে সময় বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের (বিটিএল) নামে লাইসেন্স দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল) প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা কিনে সিটিসেল নামে কার্যক্রম শুরু করে। দেনার দায়ে ২০১৬ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

Facebook Comments Box

Posted ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।