• প্রত্যেক পরিচালককে জরিমানা

    এমারেল্ড অয়েলের শীর্ষকর্তাদের বিও হিসাব জব্দ

    বিবিএনিউজ.নেট | ০২ মার্চ ২০১৯ | ২:১৮ অপরাহ্ণ

    এমারেল্ড অয়েলের শীর্ষকর্তাদের বিও হিসাব জব্দ
    apps

    ২০১৬-১৭ হিসাব বছরের বার্ষিক হিসাব বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হওয়ায় এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে) ৫ লাখ টাকা করে জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি কোম্পানির উদ্যোক্তা, পরিচালক (স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, কোম্পানি সচিব ও হেড অব ইন্টারনাল অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের সব বিও হিসাব জব্দ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৭৭তম কমিশন সভা শেষে বিএসইসি জানায়, সময়মতো হিসাব বিবরণী দাখিল না করে কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭-এর রুল ১২ (৩ এ) লঙ্ঘন করেছে। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় এমারাল্ড অয়েল। সে হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ৩ টাকা ৩৩ পয়সা, আগের বছর বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর যা ছিল ২ টাকা ৮২ পয়সা।

    এদিকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই ’১৬-মার্চ ’১৭) ৯ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে এমারাল্ড অয়েল, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৪৪ পয়সা। ওই বছরের ৩১ মার্চ ২০১৭ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৭৫ পয়সায়।


    এরপর কোম্পানির কোনো আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়নি, অনুষ্ঠিত হয়নি সাধারণ সভাও। এ কারণে কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দিয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে কোম্পানি ও এর উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা চলমান। বন্ধ রয়েছে কোম্পানির উৎপাদনও।

    ডিএসইতে দেড় মাসের ব্যবধানে এমারাল্ড অয়েলের শেয়ারদর প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এক মাস ধরে শেয়ারটির দর সংশোধন হচ্ছে। গতকাল এর সর্বশেষ দর ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ বা ২ টাকা কমে দাঁড়ায় ১৮ টাকা ২০ পয়সায়। দিনভর দর ১৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ১৮ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ২০ পয়সা। এদিন ৫২১ বারে কোম্পানিটির মোট ৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৯২টি শেয়ার লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন দর ছিল ৮ টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ৫০ পয়সা।

    ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ৩৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ২৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, প্রতিষ্ঠান ১৩ দশমিক ৫৪ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ২:১৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মার্চ ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২
    ১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
    ২০২১২২২৩২৪২৫২৬
    ২৭২৮২৯৩০৩১  
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি