বিবিএ নিউজ.নেট | ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩:১৩ অপরাহ্ণ
চালকল (মিল) মালিকদের ধান মজুতের ক্ষমতা কমানো হয়েছে। ধান-চালের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এই পদক্ষেপ নিল সরকার।
গত ২১ ডিসেম্বর খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সংশোধিত আদেশ জারি করা হয়েছে। কি পরিমাণ খাদ্যশস্য বা খাদ্য সামগ্রী (চাল, ধান, গম, চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল) কতদিন মজুদ করা যাবে তা নির্ধারণ করে ১৯৫৬ সালের কন্ট্রোল অব অ্যাসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট-এর অধীনে ২০১১ সালের ৪ মে একটি আদেশ জারি করা হয়।
আদেশ অনুযায়ী, চালকল মালিক পর্যায়ে অটোমেটিক, মেজর ও হাসকিং চালকলের ক্ষেত্রে পাক্ষিক (১৫ দিনে) ছাঁটাই ক্ষমতার ৫ গুণ ধান ৩০ দিন পর্যন্ত মজুদ করা যেত।
এখন সংশোধিত আদেশ অনুযায়ী, অটোমেটিক, মেজর ও হাসকিং চালকলের ক্ষেত্রে দৈনিক ৮ ঘণ্টা হিসেবে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতার ৩ গুণ ধান ৩০ দিন পর্যন্ত মজুদ করা যাবে।
গত কিছুদিন ধরে দেশের চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। আমনের ভরা মৌসুম হলেও ‘গরিবের চাল’ খ্যাত মোটা চালের কেজি ৫০ টাকায় পৌঁছেছে। চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় সরকারের আমন সংগ্রহ কর্মসূচি ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে কমছে সরকারি মজুতও।
এই পরিস্থিতিতে বাজার সামাল দিতে আমদানিতে নেমেছে সরকার। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আমনের ভর মৌসুম হলেও ধানের দাম বেশি, এর প্রভাবে পড়ছে চালে। তারা মনে করছেন, আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে, তাই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৩:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | motaleb hossen