বিবিএনিউজ.নেট | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ
দেশের অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মতো ব্যাংকিং খাতও করোনাভাইরাসের কারণে নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি। ব্যাংকিং খাত করোনায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে জনগণের জন্য তাদের অবিরাম সেবা চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন খাতে সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজও ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। করোনার সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো এ পর্যন্ত নিজেদের সামর্থের মধ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা কিনা সম্ভব হয়েছে ব্যাংকগুলোর উচ্চ তারল্য এবং পর্যাপ্ত মূলধন থাকার কারণে। তবে করোনা থেকে যেহেতু পুরোপুরি উত্তরণের এখনো কোনো জুতসই সমাধান হাতের কাছে নেই এবং কত দিনের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তারও কোনো সঠিক উত্তর নেই, তাই ব্যাংকগুলোকে করোনাকালীন এবং করোনা-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। সেবার ক্ষেত্রে এ পরিবর্তন কতটা ধরে রাখতে পারবে- ব্যাংকগুলো সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
করোনার প্রভাবে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড অনেক দিন বন্ধ ছিল। যেসব প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড সীমিত হলেও খরচ বাড়ছে। প্রয়োজনীয় উপকরণ করোনাকালীন সহজলভ্য নয়। এ অবস্থায় যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণ রয়েছে, তারা সহজেই প্রতিশ্রুত অর্থ ব্যাংকগুলোকে ফেরত দিতে অপারগ হতে পারে।
প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং করোনাকালীন তার প্রয়োগ মানুষের মধ্যে ধারণা হয়েছে, শাখা ব্যাংকিং ছাড়াও প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যকর সেবা পাওয়া সম্ভব। করোনা-পরবর্তী ‘নতুন নরমাল’ সময়ের সূচনা হলে ব্যাংকের সেবাগ্রহীতা প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বেরিয়ে এসে শাখা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আবার ফিরে যেতে আগ্রহী হবেন না।
বড় ব্যাংকগুলো যদিও অতিরিক্ত স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে, মধ্যম আকারের ব্যাংকগুলোর সমস্যাটা হবে উন্নততর প্রযুক্তির সংযোজন এবং লাভজনকভাবে তার ব্যবহার। মধ্যম আকারের ব্যাংকগুলো অনেকটাই দুর্বল, যা উন্নততর সেবা প্রদানে দরকারি তথ্যপ্রযুক্তির সংযোজনে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। এক্ষেত্রে ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যাংকগুলো একীভ‚তকরণ নীতি গ্রহণ করতে পারে। এতে ব্যাংকগুলোর সামর্থ্য বাড়বে এবং ব্যয়সংকোচনও সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৮ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed