| বুধবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 389 বার পঠিত
বিশ^ বাণিজ্য সংস্থার (ডঞঙ) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ ২০২১ শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বৈশি^ক পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এ অঞ্চলে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। রপ্তানি আয় পাঁচ দশকে ৯৬ গুণ বেড়েছে। করোনাকালীন চরম দুঃসময় কাটিয়ে উঠে দেশের রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর ২০২১ বাংলাদেশ বিশ^বাজারে ৩৪১ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩০৬ কোটি ডলার। এর বাইরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২৭ শতাংশ, প্লাষ্টিক পণ্যে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে প্রায় ১০ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি মার্কিন ডলার বা ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি বা ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। ২ জানুয়ারি ২০২২ প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। টাকার হিসেবে যা ২ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আয় বেশি এসেছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির তথ্য বিশ্লেষন করে দেখা যায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পণ্য চীন থেকে আমদানি হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে রপ্তানি লক্ষ্যের তালিকায় চীনের অবস্থান পঞ্চদশ। গত পাঁচ বছর ধরে দেশের প্রধান এই বাণিজ্য সহযোগীর সঙ্গে ঘাটতি ১ অনুপাত ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১ অনুপাত ২০ পর্যন্ত থেকে যাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি সক্ষমতা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে চীনে রপ্তানি বহুগুণে বাড়াতে পারে বাংলাদেশ। ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডসেন্টার আইসিটির আরেক সমীক্ষায় দেখা যায়, বাংলাদেশ বর্তমানে চীনে তার রপ্তানি সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ কাজে লাগতে পারছে। একদিকে যেমন সক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করে রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব, আবার চীনের অভ্যন্তরীণ আমদানি বাজার বড় হতে থাকায় নতুন সুযোগও তৈরি হবে। চীনের মত দেশে রপ্তানি করতে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে এবং সেটা এখন দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি দেশটি পোশাক তৈরির শিল্প থেকে কিছুটা সরে আসছে। ফলে আমরা বেশ আশাবাদী চীনে সারা বছর যে পরিমান পোশাক আমদানি করে তাতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব মাত্র শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। বর্তমানে চীনে ৩২২ বিলিয়ন ডলারের পোশাকের বাজার রয়েছে। এ বাজার দিন দিন যেভাবে বড় হচ্ছে এত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক পোশাকের বাজার ৩৭০ বিলিয়নকে ছাড়িয়ে যেতে বেশিদিন লাগবে না । দেশটির পোশাক বাজারের মধ্যে নিট পণ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ৭ শতাংশ এবং ওভেনে ৮ শতাংশ, কম্পোডিয়া, ভারত , ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম এখন বাংলাদেশের শক্ত প্রতিদ্বন্দ¦ী।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ দুই-তৃতীয়াংশ বেড়ে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের শীর্ষ ৬ রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় ঢুকে পড়েছে প্রতিবেশী দেশটি। ভারতে রপ্তানি এই হারে বাড়তে থাকলে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রথমবারের মতো ১ বিলিয়ন ডলারের সীমা ছাড়িয়ে ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন দাঁড়িয়েছিল। এ দিকে বাংলাদেশী পণ্যের সবচেয়ে বড় গন্তব্যস্থল যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির এক পঞ্চমাংশের গন্তব্যস্থান দেশটিতে উচ্চহারে প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়ায় অক্টোবরে লক্ষমাত্রা টপকে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় আগামী দিনগুলোতেও এসব দেশে পণ্য রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি আশা করছেন রপ্তানিকারকরা। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রধান বাজার ও প্রধান পণ্যগুলোর রপ্তানি বেড়েছে। বিশ^জুড়ে কোভিড সংক্রমন কমে যাওয়া এবং রপ্তানি পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী এ বছর জুলাই-অক্টোবর সময়ে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমান ছিল ৪২৫ মিলিয়ন ডলার। যদি প্রবৃদ্ধির বর্তমান প্রবণতা বজায় থাকে, তাহলে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেই রপ্তানি ২ বিলিয়ন ডলারের মাইল ফলক স্পর্শ করবে। ভারতে তৈরি পোশাক থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য বিভিন্ন ধরনের নতুন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশী রপ্তানিকারকরা উপকৃত হচ্ছেন। পাট,চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ -এর তথ্য মোতাবেক, কম শিপিং চার্জও ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার আরেকটি বড় কারণ। মহামারির কারণে আন্তর্জাতিকভাবে শিপিং চার্জ বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। কিন্তু যেহেতু ভারতের সঙ্গে আমাদের স্থল সীমান্ত রয়েছে তাই ভারতীয় আমদানিকারকরা অতিরিক্ত খরচ কমাতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে উৎসাহী হচ্ছেন। এর কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে রপ্তানির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইপিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক বাণিজ্য ঘাটতি থাকা ভারতের বাজারে এবার বাংলাদেশের রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার ৬৪.৭০ শতাংশ। যা গত চার মাসে দেশের প্রধান ২০টি রপ্তানি বাজারের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে বাংলাদেশে মোট রপ্তানির ৩.৩১শতাংশ রপ্তানি হয়েছিল ভারতে। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৪৪ শতাংশ। ভারতে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য কটন ও কটন প্রোডাক্টস, প্লাষ্টিক পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে- তৈরি পোশাক, সয়াবিন তেল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাষ্টিক পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটের সুতা, মাছ ও চা। আর ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে- পাথর, ইলেক্টট্রনিক্স পণ্য, ভারী মেশিনারিজ, অর্গানিক কেমিক্যালস, প্লাস্টিক এনিমেল ও ভেজিটেবল অয়েল, লোহা ও ইস্পাত এবং যানবাহন ও যানবাহনের যন্ত্রাংশ। ইপিবি সুত্রে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের পণ্য। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রপ্তানি হয়েছে ১৭ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার এবং আমদানি হয়েছে ৩১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৫২ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলার। আর ভারত থেকে আমদানি করেছে ৫৮ হাজার ৯৪৫ ডলার। এই হিসাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ১১৬ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছর প্রথম মাসে জুলাই ২০২০ ভারত থেকে মোট আমদানি হয়েছে ২০ হাজার ৪১২ ডলার আর রপ্তানির পরিমান ১৪ হাজার ১৮২ ডলার। রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির ফারাক এখনও বেশ বড় । ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে পণ্য রপ্তানির তথ্য পাওয়া গেলেও দেশটি থেকে কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছে তার পুরো তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি দুই দেশের কোনো মন্ত্রনালয় বা বিভাগ। ফলে গত অর্থবছরে দু, দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কত ছিল সেটি এখনো জানা যায়নি।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার হিসেবে প্রতি ডলার (৮৫ টাকা ৭০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমান ৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন মোতাবেক, এ খাতের রপ্তানি আয় নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। আর এই আয়ের ৬২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকাই এসেছে জুতা রপ্তানি থেকে। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এ খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান বাজার হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ আরো কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয় এই পণ্য।
লেদার গুডস এ্যান্ড ফুটওয়্যার মানুফ্যাকচারস অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বিশে^ জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। ভারতের ও ভিয়েতনামেরও ভালো অবস্থান আছে। বিশে^ জুতার বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮ তম। তবে বিশ^ বাজারে এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১১ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ১১৬ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই আয় আরো বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে চামড়া শিল্প থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয়। এরপর থেকেই ধস নামে এ খাতের রপ্তানিতে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা আরো কমে ১০২ কোটি ডলারে নামে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরো কমে ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে। তবে করোনা মহামারির মধ্যেও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৯৪ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বিদেশী মুদ্রা আয় হয়েছে। টাকার হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে চালানের পরিমাণ বাড়ার কারণে চলতি অর্থবছরে চামড়া খাতের রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, গত চার বছর অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পর থেকেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। যা অব্যাহত ছিল মার্চ পযর্ন্ত। কিন্তু মহামারির মধ্যেই এপ্রিল, ২০২১ সে চিত্র পাল্টে গেছে। এই মাসে প্রায় ৮ কোটি ডলারের রপ্তানির মধ্যে দিয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে এ খাতের রপ্তানি। তবে ইউরোপের দেশগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় বড় বড় শপিং মল খুলেছে। জুতাসহ চামড়াজাত সব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যারা কোনো জুতা বা চামড়ার পণ্য কেনেনি তারা এখন কিনছে। যে কারণে রপ্তানি বাড়ছে।
পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের নতুন বাজারে খুঁজতে হবে। এক্ষেত্রে আফ্রিকা মহাদেশ হতে পারে নতুন বাজার। বাংলাদেশের ঔষধ, বস্ত্র, কৃষিজাত পন্য ও পাটজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণে অনেক পিছিয়ে আছে। রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণে অনেক জোর দিতে হবে। পণ্যের বহুমুখীকরণসহ পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জোর দিলে এই রপ্তানি আয় আরো অনেক বেশি অর্জন করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।
Posted ৩:২৯ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ জানুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy