
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট | 969 বার পঠিত
সানেম ও বিআইজিডি আয়োজিত অর্থনীতিবিদ সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে মনোভাবের পরিবর্তন জরুরি। এ ছাড়া বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা নারীদেরও কর্মসংস্থানের মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত চতুর্থ বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এসব কথা বলেন তারা।
রোববার সকালে সানেম এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) যৌথভাবে ‘এভিডেন্স ফর পলিসি-ব্র্যাকস টিইউপি প্রগ্রাম’ শিরোনামে একটি সেশন আয়োজন করে। সেশনটিতে সভাপতিত্ব করেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইমরান মতিন।
এতে বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, ‘চরম দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প’ টেকসইভাবে চরম দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ পরিবারকে ব্র্যাক সহায়তা প্রদান করেছে। ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা গেছে ক্ষুদ্রঋণ চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এ জন্য চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যই ব্র্যাক ২০০২ সাল থেকে ‘চরম দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প’ শুরু করে।
ইমরান মতিন বলেন, ‘চরম দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প একটি কার্যকরী সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে ছিটকে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রবৃদ্ধির ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
এরপর সানেম ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারের আয়োজনে অর্থনীতিবিদ সিমিন মাহমুদের স্মরণে ‘শ্রমবাজার এবং কর্মসংস্থানের প্রতিবন্ধকতা’ শিরোনামে আয়োজিত সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইজিডির জেন্ডার স্টাডিজ ক্লাস্টারের প্রধান মাহিন সুলতান।
সেশনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘সিমিন মাহমুদ নীরবে বহু বছর ধরে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে গেছেন। আজকের প্রেক্ষাপটেও তাঁর কাজ গুরুত্বপূর্ণ।’ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সালমা বেগম বলেন, ‘প্রথাগত ধারণা নারীদের শ্রমবাজারে প্রবেশের পথে প্রধান বাধা।’ ড. বিদিশা তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপনে বলেন, ‘বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করা নারীদের কর্মসংস্থানের মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।’
ড. শাহনেওয়াজ হোসেন কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে মানুষের মনোভাব পরিবর্তনের প্রয়োজনের কথা বলেন। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী সিমিন মাহমুদ কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যেই অসামঞ্জস্যগুলো বিদ্যমান, সেগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা করতেন। তিনি বলেন, এই সমস্যাগুলো প্রথাগত উপায়ে সমাধান করা সম্ভব নয়।
মাহিন সুলতান বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি মানে শুধু উৎপাদনমূলক কাজের স্বীকৃতি নয়, গৃহস্থালি কাজকেও স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।’ তিনি সন্তান পালনে পিতার ভূমিকা বৃদ্ধিতে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
সম্মেলনের প্রথম দিন সন্ধ্যায় সানেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দুটি সংগঠন ইকোনমিক্স স্টাডি সেন্টার এবং ইকোনমিক্স ক্যারিয়ার অ্যালায়েন্সের সহায়তায় তরুণ গবেষকদের জন্য একটি সেশন আয়োজন করে। ওই সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাতজন শিক্ষার্থী তাঁদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
Posted ৫:২৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed