নিজস্ব প্রতিবেদক: | ১৮ এপ্রিল ২০২০ | ১:২৫ অপরাহ্ণ
ভরা মৌসুমেও হঠাৎ করেই ফের বেড়েছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য। একই সাথে বাড়ছে রসুনের দামও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সবজি, ডিম ও মুরগির দাম।
সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। এদিকে দাম বেড়ে দেশি রসুন ১৪০-১৭০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের দামও। সব ধরনের চাল কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে স্থিতিশীল ছিল সবজির বাজার। সরবরাহও রয়েছে পর্যাপ্ত। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, পটল ৪০, শসা ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।
মাছের বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের সরবরাহ রয়েছে। দামও স্থিতিশীল। ডিমও রয়েছে স্বাভাবিক দরে। আগের মতই হালি প্রতি ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রমজান আসার আগেই মাংসের বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা দেখা গেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মুরগির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি বয়লার মুরগির ১২০ টাকা, পাকিস্তানি ২০০ টাকা, কক ১৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, রমজানের আগে আরো একধাপ দাম বাড়লো ছোলার। দাম বেড়ে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে। গত সপ্তাহের মত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে মসুর ডাল, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১:২৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | sajib