
বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ০৮ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 623 বার পঠিত
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ তহবিল ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাড (ওয়ানএমডিবি) কেলেঙ্কারিতে যুক্ত গোল্ডম্যান স্যাকসের সাবেক এক ব্যাংকারকে মালয়েশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দায়ের করা একটি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি করতেই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করা হয়েছে। খবর গার্ডিয়ান।
মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, গোল্ডম্যানের সাবেক ব্যাংকার রজার এনজিকে ১০ মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। এরপর মালয়েশিয়ার আনা অভিযোগের মুখোমুখি করতে তাকে আবারো নিজ দেশে ফেরত আনা হবে।
মালয়েশিয়ার ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে রজার এনজির বিরুদ্ধে গত বছর অভিযোগ দায়ের করে মার্কিন বিচার বিভাগ। এ অভিযোগে গত বছরের নভেম্বরে তাকে কুয়ালালামপুর থেকে আটক করা হয়। ২০১৪ সালে মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস থেকে পদত্যাগ করেন রজার এনজি।
গত সোমবার ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতে হাজির হয়ে রজার এনজি মালয়েশিয়া ও আবুধাবির সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এছাড়া ২ কোটি ডলারের একটি বন্ডের জন্য ১০ লাখ ডলার নগদ পরিশোধের পর তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এনজি তার পাসপোর্ট আদালতের কাছে সমর্পণ করেছেন। জামিন পেলেও একটি নির্দিষ্ট বাড়িতেই আটক থাকতে হচ্ছে তাকে।
মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে ওয়ানএমডিবি তহবিল গঠন করেন দেশটির তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। কিন্তু ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক তদন্তে তহবিলটির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, নাজিব ও তার সহযোগীরাই এ অর্থ আত্মসাতে জড়িত ছিলেন। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসের বিরুদ্ধেও এ আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। যদিও গোল্ডম্যান স্যাকস জানিয়েছে, গোল্ডম্যানের কতিপয় ব্যাংকার এ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকলেও এর সঙ্গে গোল্ডম্যানের কোনো সম্পর্ক নেই। ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত মাসের শুরুতে নাজিব রাজাককে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওয়ানএমডিবির ২৭০ কোটি ডলার অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করায় গোল্ডম্যান স্যাকসের সাবেক কয়েকজন ব্যাংকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, রজার এনজি এদের একজন। ২০১২-১৩ সালে এসব কর্মকর্তা তিনটি ভিন্ন প্রস্তাবের মাধ্যমে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বন্ড ইস্যুর মধ্য দিয়ে ওয়ানএমডিবির জন্য অর্থ সংগ্রহে সহায়তা প্রদান করেন। বন্ড ইস্যু করতে গিয়ে তারা কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদান এবং ভুয়া প্রতিবেদন প্রদান করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অনেকদিন আগেই রজার এনজিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এক বক্তব্যে তার সমর্পণ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাকে প্রথমে মালয়েশিয়ায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
Posted ৩:৩৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৮ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed