পুঁজিবাজারভুক্ত বীমাখাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্সের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত কোম্পানির ৩৫তম এজিএমে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ। এ সময় কোম্পানির অন্যান্য পরিচালকসহ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) বশির আহমেদ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব মো. ইমতিয়াজ ভূঁইয়া। সভায় বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানির সিইও।

সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের ওপর আলোকপাত করেন পরিচালক ও বিনিয়োগকারীরা। এতে দেখা যায়, আলোচ্য বছর ও বিগত বছরে কোম্পানি ব্যবসায়িক আয়ে প্রায় একই অবস্থানে থাকলেও ব্যবস্থাপনা ব্যয় সাফল্যজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে দাবি প্রদানের পরিমাণ, যা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটির ওপর গ্রাহকদের আস্থা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া দাবি প্রদান করেছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অন্যদিকে মোট সম্পদ ও অবলিখন মুনাফার ক্ষেত্রেও প্রতিষ্ঠানটি সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। সমাপ্ত বছরে কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল একশ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বেড়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যা আশা জোগাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের। এ ছাড়া অবলিখন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এ ছাড়াও বেড়েছে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুইটি। আলোচ্য বছরে এর পরিমাণ হয়েছে ৬১ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৬০ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

সমাপ্ত বছরের এমন ব্যবসায়িক পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদও (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে ১.২৫ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১.০৮ টাকা এবং এনএভি হয়েছে ১৪.৪৫ টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১৪.২২ টাকা। এমন প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬ শতাংশ নগদসহ মোট ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে পরিচালনা পর্ষদ। বার্ষিক সাধারণ সভার অন্যান্য আলোচ্য সূচির সাথে যা বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন লাভ করে।