
বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 596 বার পঠিত
এখনও জমে ওঠেনি ঈদের বাজার। কেনাবেচার ধুম বলতে যা বোঝায় মার্কেটগুলোতে তা শুরু হয়নি। ফলে দোকানিরা কাটাচ্ছেন অলস সময়। শুক্রবার ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও পার্শ্ববর্তী বনানী এলাকার দোকানগুলোতে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বেলা ১১টায় ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বৃহৎ মার্কেট হিসেবে পরিচিত রজনীগন্ধা সুপার মার্কেটে দেখা যায়, অল্প সংখ্যক ক্রেতা যার অধিকাংশই নারী। মার্কেটের ‘মানিকগঞ্জ বস্ত্রালয়ে’ দরদাম করছিলেন নাহার নামে এক গৃহিণী। দোকানের সামনে তার একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে পায়চারি করছেন স্বামী সেনাসদস্য সাজ্জাদুল করিম।
ঈদের বাজার করছেন কি-না জানতে চাইলে ‘হ্যাঁ’ সূচক সহাস্য জবাবে বলেন, আস্তে আস্তে কিনছি। দুইদিন ছুটি মনে করে বের হয়ে প্রচণ্ড গরম আর তাপে অতিষ্ঠ। কেনাকাটার মতো ধৈর্য নেই। ভাবছি বাসায় চলে যাব। ইফতারের পর আবার বের হব।
একই চিত্র দেখা গেছে, ক্যান্টনমেন্ট ও পার্শ্ববর্তী এলাকা বনানীর দোকানপাট ও দামি শপিংমলগুলোতে। দুপুর পর্যন্ত বনানী পোস্ট অফিস সংলগ্ন ‘ইউএই শপিং কমপ্লেক্সে’ শতাধিক দোকানে সবমিলে ৫০ জন ক্রেতা নজরে আসেনি। দোকানিরা সবাই অলস সময় কাটাচ্ছিলেন।
ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি করা ‘প্যারাগনে’ প্রবেশ করে পাওয়া যায় দুজন ফ্যাশন সচেতন যুবককে। তাদের একজনের নাম শান। জানালেন, তিনি গাজীপুরে বাবার সঙ্গে পেট্টোলিয়াম ব্যবসায় সময় দেন। বন্ধুকে নিয়ে নিজে ড্রাইভ করে বনানী এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
কী কিনেছেন জানতে চাইলে শান বলেন, ‘এক ঘণ্টা ঘুরে দুটি পোলো শার্ট ও একটি জিন্সের প্যান্ট ১৮ হাজার টাকায়।’ দামটা একটু বেশি হলো কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যা কিনেছি এক্সক্লুসিভ। পছন্দ হয়েছে এটাই বড় কথা।’
‘ইউএই শপিং কমপ্লেক্সের’ ব্যবসায়ী রহমান বলেন, ঈদের বেচাকেনা এখনও পুরোপুরি লাগেনি। তবে এখানে সবসময় বেচাকেনা হয় আবার সবধরনের ক্রেতা এখানে আসেন না। যারা আসেন তারা প্রায় সবাই ব্র্যান্ডের কাস্টমার। দাম তাদের কাছে কোনো বিষয় না। পছন্দ হলেই হলো।
তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর আমাদের মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ে। তবে ১৫ রোজার পর থেকে বেচাকেনা বাড়বে। এখন মোটামুটিভাবে টুকটাক বেচাকেনা হচ্ছে।
এবার ঈদকে ঘিরে কোনো নতুন পোশাক এসেছে কি-না এবং তার দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে সবসময় নতুন ফ্যাশনের সমাগম ঘটে। তবে ঈদে থাকে বেশ এক্সক্লুসিভ।
উল্লেখ্য, নিউমার্কেট, ফার্মগেটসহ রাজধানীর বেশকিছু স্বনামধন্য মার্কেটে একই চিত্র দেখা গেছে। তবে দু-একদিনেই পাল্টে যাবে মার্কেটের চিত্র। ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা সব দোকানির।
Posted ১২:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed