শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

জলসীমা বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরের

  |   শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   2039 বার পঠিত

জলসীমা বাড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরের

আট বছর পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জলসীমা আবারও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটিকে এখনকার সাত নটিক্যাল মাইল থেকে বাড়িয়ে ৫০ নটিক্যাল মাইলে বিস্তৃত করার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যেটি অনুমোদনের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

প্রস্তাবিত সীমানা অনুমোদিত হলে বন্দরের জলসীমা পতেঙ্গা উপকূলের উত্তরে কাট্টলী থেকে সীতাকুণ্ড এবং দক্ষিণে আনোয়ারার গহিরা থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

ক্রমবর্ধমান পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের চাপ সামলাতে এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মহেশখালীর মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মিত হচ্ছে। জলসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটিও প্রাধান্য পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, বন্দরের জলসীমা এখন সাত নটিক্যাল মাইল। সেটি বাড়িয়ে ৫০ নটিক্যাল মাইল করার প্রস্তাব গত বছরের অক্টোবরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রস্তাবটি গেছে আইন মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর গেজেট হবে।

প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই বন্দরের যাত্রা শুরুর পর সীমানা ছিল ৫ নটিক্যাল মাইল। পরবর্তী সময়ে আলফা, ব্রেভো এবং চার্লি নামে তিনটি অ্যাংকারেজে বিভক্ত করে বাড়ানো হয় ৩১ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত। ২০১১ সালে সেটি বাড়িয়ে সাত নটিক্যাল মাইল করা হয়।

সূত্রমতে, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে বর্তমানে বছরে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি জাহাজ আসে। এর মধ্যে বন্দরের প্রধান ১৬টি জেটিতে ভিড়তে পারে সীমিত সংখ্যক জাহাজ। অনেক জাহাজকে নোঙর করতে হয় বহির্নোঙরে। কারণ, নাব্যতা সংকটে সাড়ে নয় মিটার গভীরতা ও ১৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজই কেবল বন্দরের জেটিতে ঢোকার অনুমতি পায়। ফলে বড় জাহাজগুলোকে কুতুবদিয়া বা বহির্নোঙরে এসে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এর চেয়ে বড় জাহাজ কুতুবদিয়ায় আসার পর লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে কিছু পণ্য খালাস করে সেটিকে হালকা করার পরই বন্দর সীমানায় আসার অনুমতি মেলে।

বন্দর সূত্রের দাবি, জলসীমা ৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হলে বন্দরের রাজস্ব আদায় বাড়বে দৈনিক অন্তত এক কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দরের সীমানায় অবস্থানকারী জাহাজগুলোকে প্রতি জিআরটি (গ্রসটন) হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষকে দশমিক ২৪ ডলার হারে মাশুল পরিশোধ করতে হয়। প্রতিটি জাহাজকে ৮০০ থেকে ১ হাজার জিআরটি পরিমাপ ধরা হয়।

বন্দর সীমানার বাইরে কুতুবদিয়া হয়ে মহেশখালী পর্যন্ত সাগরে শত শত জাহাজের অবস্থান থাকলেও তাদের কোনো মাশুল দিতে হয় না। কিন্তু পুরো এলাকা বন্দরের সীমানায় এলে বছরে ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ঘিরে প্রচুর জাহাজ আসা শুরু হয়েছে। আর এমনিতেও পণ্যবাহী জাহাজ আসার পরিমাণ তো বাড়ছেই। সব মিলিয়ে বন্দরের সীমানা যদি বেড়ে যায়, রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:১৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।