বিবিএনিউজ.নেট | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১:২০ অপরাহ্ণ
মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, সোহাগী কিসকু, পোহাতি কিসকু ও সুরদনি কিসকু-পাঁচজনই জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য। পাঁচজনই খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী। নারী ফুটবলারদের ক্যাম্প নেই বলে সবাই এখন ছুটি কাটাচ্ছেন। এই ছুটিটা বেশি আনন্দঘন হয়েছে এই পাঁচ ফুটবলারের। কারণ, তাদের সবচেয়ে ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে যে থাকতে পেরেছেন পরিবারের সাথে।
পাঁচ ফুটবলারের দুইজন মারিয়া মান্দা ও শিউলি আজিম ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের। সোহাগী কিসকু, পোহাতি কিসকুরা দুই বোন-তাদের বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের রানীসংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে। সুরদনি কিসকুর বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জে।
ময়মনসিংহ থেকে জাতীয় দলের মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দা বলছিলেন, ‘এবার খুব আনন্দ করেছি। গত বড়দিনেও বাড়িতে ছিলাম। তবে এবার উৎসবটা বেশি হয়েছে। পরিবারের সবাই মিলে সকালে গির্জায় গিয়েছিলাম। অনেক আনন্দ করেছি। বাড়িতেও আজ নানা ধরনের খাবার তৈরি হয়েছে। পাড়া প্রতিবেশি এবং আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মজা করে সময় কাটাচ্ছি।’
শিউলি আজিজ বড়দিন পালন করতে কলসিন্দুর থেকে চলে গেছেন নেত্রকোনার পাঁচগড়ে। সেখানে তার চাচার বাড়িতে দুপুর পর্যন্ত বড় দিন পালন করে বিকেলে ফিরে আসার কথা ছিল ময়মনসিংহে। ‘আমার চাচাতো ভাইয়ের বাইকে চড়ে কলসিন্দুর থেকে নেত্রকোনা এসেছি। প্রায় ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা। সন্ধ্যার আগেই আবার ফিরে যাবো’-নেত্রকোনা থেকে বলছিলেন শিউল আজিম।
শিউলি আজিমরা ৩ ভাই ২ বোন। সে সবার মেজো। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে এলাকাতেই। তারও বিকেলে কলসিন্দুরে শিউলিদের বাড়ি এসে পৌঁছানোর কথা। ‘এসেই চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চাচা বাড়ির লোকজন বলেন-সবসময়তো বাড়িতে উৎসব করিস। এবার এখানে থাক। তাই যাওয়া হয়নি। তবে বাড়িতে সবাই আসবে বলে সেখানে আনন্দ বেশি হবে। তাছাড়া নেত্রকোনায় বড় গির্জা নেই। আমাদের ওখানে আছে। বাড়ি গেলে আরো আনন্দ হবে’-বলেন শিউলি আজিম।
‘এই তো কিছুক্ষণ আগে গির্জা থেকে বের হলাম। আমরা ভাই-বোন, পরিবারের অন্যারাও এসেছিলাম। এখানে দারুণ মজা হয়েছে’-ঠাকুরগাঁওয়ের রানীসংকৈল থেকে বলছিলেন সোহাগী কিসুক। তার সঙ্গেই ছিলেন ছোট বোন পোহাতি কিসকু।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed