মঙ্গলবার ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

বিজ্ঞপ্তি   |   মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   119 বার পঠিত

জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ

অবশেষে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশের জন্য অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শেষ দুটি কিস্তির অর্থ আগামী জুনে পেতে পারে বাংলাদেশ। ওই মাসেই আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণ প্যাকেজের শেষ দুই কিস্তি অনুমোদন করা হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে দফায় দফায় বৈঠকের পর অর্থ ছাড় নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেছেন, আমরা শুধু এ সুখবরটি দিতে পারি যে, জুনে ঋণের কিস্তির ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার (১৩০ কোটি ডলার) ছাড় হবে। জুনের (আইএমএফের) বোর্ড সভায় এ অর্থ ছাড় হবে বাংলাদেশের জন্য। বিস্তারিত আগামীকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গভর্নর বিস্তারিত জানাবেন বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয়তা আনার বিষয়ে দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের অবসান ঘটিয়ে আইএমএফ ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড় করতে সম্মত হয়েছে। জুনে বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার (৪৭০ কোটি ডলার) ঋণ প্যাকেজের পরবর্তী দুটি কিস্তি অনুমোদন করবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থ ছাড়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও সংস্কারের শর্ত পূরণ না হওয়ায় তা বিলম্বিত হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৭ কিস্তিতে এ ঋণ দেওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। এ হিসাবে ঋণের বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।

গত বছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার কথা থাকলেও নানা শর্তে তা আটকে দেয় আইএমএফ।

তখন আইএমএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শর্ত পূরণ করলে চলতি বছরের মার্চে ঋণের চতুর্থ কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ঘোষণা আসে, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একত্রে চলতি বছরের জুনে দেওয়া হতে পারে। এ নিয়ে এপ্রিলে বাংলাদেশে সফরে এসেছিল আইএমএফ প্রতিনিধিদল।

ঋণের এই অর্থ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Facebook Comments Box
বিষয় :

Posted ৮:০৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11745 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।