বিবিএনিউজ.নেট | ২৮ নভেম্বর ২০২০ | ২:১৯ অপরাহ্ণ
আম্বের ফোর্ট বা আমের ফোর্ট জয়পুরে বিখ্যাত । জয়পুর সিটি থেকে ১০-১১ কিমি দুরে আরাবল্লী পর্বতমালার উপরে অবস্থিত এই স্থাপত্যটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃত ।
রাজপুত রাজা মান সিং ১৫৯২ সালে এই ফোর্ট তৈরী করেন । এরপরে তাঁর উত্তরসূরী রাজারা প্রায় ২০০ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে এর নির্মান কাজ চালিয়ে যান । রাজপুত রাজাদের পরিবার এবং অন্যান্য রাজকর্মীদের বাসস্থান হিসাবে ব্যাবহৃত হতো এই ফোর্ট তাই একে প্যালেসও বলা হয় । প্যালেসের পাদদেশে অবস্থিত সুদৃশ্য মাওটা লেক ছিল এই প্রাসাদের জলের উৎস । এই প্যালেসের মধ্যে অংশগুলি হলো, দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-খাস, শীসমহল, সুখনিবাস এবং জয়মন্দির। নামেই বোঝা যায় কোন অংশের কি ব্যবহার ছিল । এছাড়া আরেকটি উল্লেখযোগ্য মন্দির এই প্যালেসে রয়েছে “ শীলাদেবী মন্দির” । এই “ শীলাদেবী” ছিলেন যশোরের জমিদার প্রতাপ রায়দের কুলদেবতা । মান সিং প্রতাপ রায়কে পরাজিত করে বাংলা দখল করেন এবং শীলাদেবীকে এখানে নিয়ে আসেন । এই মন্দিরের দরজা রূপা দিয়ে তৈরী ।
আমের প্যালেসের অদূরেই রয়েছে জয়গড় ফোর্ট । প্যালেসের পিছন দিকে কিছুটা উঁচুতে আরাবল্লীর একটি টিলা চিল-কা-টিলা নামে পরিচিত । এই টিলার উপর অবস্থিত জয়গড় দুর্গ। এই দুর্গটি প্যালেসের সঙ্গে একটি আধা সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে যুক্ত । শত্রু আক্রমণ হলে আরো বেশী নিরাপদ স্থানে পৌঁছে যাবার জন্য এই ব্যবস্থা ।
এই আমের ফোর্ট কিন্তু রাজপুত রাজাদের আগে মীনা সম্প্রদায়ের ছিল । মীনা রাজা আলন সিং এই ফোর্ট তৈরী করেছিলেন, পরবর্তীতে কাছওয়া সম্প্রদায় বা রাজপুতরা এর দখল নেয় এবং ১৭২৭ সালে সোয়াই জয় সিং এর আমলে রাজধানী এখান থেকে জয়পুরে স্থানান্তরিত হয় ।
বাংলাদেশ সময়: ২:১৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed