বিবিএনিউজ.নেট | ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | ৫:০০ অপরাহ্ণ
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করে ব্যাংকখাতকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। এ লক্ষ্যে এখন থেকে খেলাপি ঋণ আদায় জোর তৎপরতা চালানোর জন্য ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
এ সময় তিনি ব্যাংকগুলোর নিয়মিত ঋণের কিস্তির মেয়াদ শেষ হলে তা আদায় করার নির্দেশও দেন। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম থেকে যেসব ঋণের বা কিস্তির মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলো এখন থেকে আদায় করতে হবে।
সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিদের সঙ্গে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এসব নির্দেশনা দেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা অংশ নেন। নতুন বছর শুরু হওয়ার পর এটিই প্রথম ব্যাংকার্স সভা।
বৈঠকে গভর্নর ফজলে কবির অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে ব্যাংকগুলোর এমডিদের জানিয়ে দেন- করোনার কারণে ঋণ আদায় ও খেলাপি ঋণে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এখন থেকে সব ধরনের ঋণ নিয়মিত আদায় করতে হবে। জোর দিতে হবে খেলাপি ঋণ আদায়ে। এভাবে খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। অবলোপন করে নয়। আর নতুন করে যাতে কোনো ঋণ খেলাপি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
করোনার প্রভাবে গত বছর ব্যাংকগুলো কোনো ঋণ আদায় করতে পারেনি। ফলে ঋণ আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরেও অনেকে আশা করছেন ঋণের কিস্তি পরিশোধের স্থগিতের মেয়াদ বাড়তে পারে। এ কারণে কিস্তির মেয়াদ শেষ হলেও অনেকে ঋণ শোধ করছেন না।
প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়নের ধীরগতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোর অনীহার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ প্যাকেজ বাস্তবায়নের সময়সীমা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ঋণ বিতরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এ নির্দেশনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে ঢিলেঢালা ব্যবস্থাপনারও অবসান হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ৫:০০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed