নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
দেশের ভুক্তভোগী তাঁতী সমাজের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা ও জাতীয় তাঁতি সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, নিজেদের স্বার্থে সাধারণ তাঁতিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার এবং জাতীয় তাঁতি সমিতির নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে সাধারন তাঁতিদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের নতুন শর্ত মেনে সাধারণ তাঁতিরা সঠিকভাবে প্রয়োজনীয় সুতা পাচ্ছেন এবং সবাই লাভবান হচ্ছেন। একটি চক্রান্তকারি গ্রুপ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা মুলত কোন তাঁতি নয়। এজন্য সরকারের কাছে আমাদের দাবি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশেষ ব্যবস্থা দাবি করছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় তাঁত সমিতির পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম, মো, লুৎফর রহমান, মো. আঃ গনি মোল্লা, মো. আলী হোসেন, মো আশরাফ আলী প্রমুখ।
মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের নতুন শর্তগুলো হলো আমদানিকারকরা নিজেদের এলাকার ব্যাংকে এলসি খুলবে এবং তাঁতি বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসনের অবগত রেখে পূর্ব ঘোষিত সময়ে তাঁতিদেরকে সুতা বিতরণ করা হয়। কিন্তু অসাধু চক্রটি এই নিয়ম মেনে সুতা নিতে রাজি নয়। তাদের সুবিধামত সুযোগ চাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে জাতীয় তাঁতি সমিতির সভাপতি বলেন, গত ৪ আগস্ট মা: ফজলুল হক প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি একজন প্রাক্তন ব্যাংক কর্মচারী। বর্তমানে নারায়নগঞ্জে সুতার ব্যবসা করেন। তিনি তাঁতি হলেন কিভাবে বা তাঁর তাঁতে কি পণ্য উৎপাদন হয় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
জানা যায় তিনি অনেক দিন ধরে সুতার ব্যবসায় নিয়োজিত। পাবনা জেলার দোগাছিতে ২০১৯ সালে “দোগাছি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড প্রাথমিক তাতি সমিতি” এর নামে সুতা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় তার নামে দ্নুাতি দমন কমিশনে মামলা চলমান। এই মামলাতে বর্ণিত ব্যক্তি সম্পৃক্ত থাকার দায়ে সম্প্রতি দুর্নাতি দমন কমিশন, পাবনা অফিস হতে মা: ফজলল হককে তলব করেন এবং তিনি হাজিরা দেন।
এ গ্রুপের অন্যতম সদস্য মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি জাতীয় তাঁতি সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি গত ২৭ মে ২০০৯ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় তাঁতি সমিতির কমিটিতে ছিলেন। তার আমলে ৫১টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতি আমদানি সুপারিশ পায়।
কিন্তু বাবুল সাহেবের নেতৃত্বে নারায়নগঞ্জের সূতা ব্যবসায়ী ফজলুল হক এবং হাজী আঃ ছাত্তার এর যোগসাজসে তারা আমদানিকৃত মালামাল তাঁতিদের মাঝে বিতরণ না করে টান বাজারে বিক্রি করেন। নিজেরা আর্থিকভাবে কোটি টাকা লাভবান হন। এ বিষয়ে তৎসময়ে অনেক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy