নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 65 বার পঠিত
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
তিনি বলেন, আমি সব সময় বলে আসছি, সামনেও বলব- তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান না করা গেলে ভালো কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করা যাবে না।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসইর নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে ডিএসইর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এটিএম তারিকুজ্জামান ও বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, শেয়ারবাজারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার মার্চেন্ট ব্যাংক। এই বাজারের টেকসই উন্নয়নে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো, সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানো মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অন্যতম প্রধান কাজ। দীর্ঘদিন ধরে দেশের শেয়ারবাজার পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে বোঝা যায়, বাজারে অর্থের জোগান কম ছিলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নের জন্য সরকারি কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন; যা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা ইতিমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ ও সাহস জোগাচ্ছে৷ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব৷
তিনি বলেন, একটি উন্নত দেশের শেয়ারবাজার সে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যান্য দেশে দেখা যায়, সে দেশের মানি মার্কেট যতটা সাপোর্ট দেয় শেয়ারবাজারও ততটুকুও সাপোর্ট দেয়। আমরা সব সময় বলে আসছি যে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ না করলে পুঁজিবাজার সাসটেইনেবল হবে না। এখানে দুই তিন বছরের জন্য আসলেই বাজার ভালো হবে না। আপনারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কথা বলেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও কিন্তু বলে থাকেন বাজারে উত্থান-পতন থাকবে। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখানে এসে পরের দিনই লাভ তুলতে চান। আর এ কারণেই বড় পতন হয়। সে যায়গাতে আপনাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই আপনারা এ যায়গায় কাজ করবেন।
ড. হাসান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত করার কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কিন্তু সব যায়গাতে নজর রয়েছে। কোম্পানির আইপিও তালিকাভুক্ত করার আইনে কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সংস্কার করতে হবে। তবে সংস্কার করতে যেয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বাংলাদেশে যেসব গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে সেগুলোও তালিকাভুক্তিতে কাজ করতে হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি তথা ভাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারে ভাল ভাল কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। যা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন পক্ষের সাথে সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বাজার উন্নয়নে ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিবিএ একসঙ্গে কাজ করলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলেও জানান তিনি।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, শেয়ারবাজারে ভালো পণ্য থাকলে ভালো বিনিয়োগকারীও আসবে। আর্টিফিশিয়াল বিনিয়োগ দিয়ে লং-টার্মে মার্কেটকে ভালো রাখা যায় না। এজন্য দরকার ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্তি বাড়ানো। আমরা সেই কাজগুলো করছি।
Posted ৮:২৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy