গাজীপুর প্রতিনিধি | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বিশ্ব সম্মিলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান জানান, পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক উর্দু ভাষায় শূল বয়ান শুরু করেন। আর বাংলাদেশের নোয়াখালীর মওলানা নূরুর রহমান তা বাংলায় তরজমা করে শোনান।
ইজতেমাস্থলের বয়ান মঞ্চ থেকে মূল বয়ান উর্দুতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে ২৪টি ভাষায় তা তরজমা করে শোনানো হচ্ছে।
দুপুর দেড়টায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে ইজতেমা ময়দানে হবে জুমার নামাজ। তাতে ইমামতি করবেন কাকলাইল মসজিদের মওলানা মো. জোবায়ের।
দেশের ৬৪ জেলা থেকে ইজতেমায় যোগ দিতে আসা মানুষের থাকার জন্য পুরো ময়দানকে ৫০টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে নানা বয়সী মুসলমানদের টঙ্গীমুখী ঢল শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই।
শুক্রবার ছুটির দিনে গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ টঙ্গী আসছেন ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ পড়ার জন্য। শুক্রবার সকাল থেকেই পায়ে হেঁটে তাদের যাত্রা শুরু হয়েছে।
ঢাকা থেকে সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে অনেক ‘ভিআইপি’ অতিথি শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে ইজতেমা ময়দানে আসবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
নিরাপত্তা
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, আনসার সদস্যরা কয়েকটি স্তরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইজতেমা মাঠের পরিস্থিতি নজরে রাখতে পুলিশ ও র্যাব কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কন্ট্রেল রুম থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি। এছাড়া আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা সাধারণ পোশাকে খিত্তায় খিত্তায় অবস্থান করছেন।
বিশ্ব ইজতেমায় মানুষের আসার সুবিধার্থে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত আব্দুল্লাপুর থেকে ভোগড়া বাইপাস এবং মীরের বাজার থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত উভয়মুখী রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহান চলাচল বন্ধ থাকবে।
টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের মাস্টার হালিম উজ্জামান জানান, ইজতেমা উপলক্ষে ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল ট্রেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি কিছু ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে। মোনাজাতের দিন ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেনসহ ইজতেমায় ১২০টি ট্রেন টঙ্গিতে যাত্রাবিরতি করবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন, হামদর্দ, ইবনে সিনা, ইসলামিক মিশন, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন, জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, হাফেজি হুজুর সেবা সংস্থা, হোমিওপ্যাথিক ওয়েলফেয়ার, বাংলাদেশ ইউনানি-আয়ুর্বেদিক, বঙ্গবন্ধু ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পসহ বেশ কিছু সংগঠন ইজতেমা ময়দানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed