বুধবার ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

দরপতনে তলানিতে বিও অ্যাকাউন্ট

বিবিএনিউজ.নেট   |   রবিবার, ০৫ মে ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   658 বার পঠিত

দরপতনে তলানিতে বিও অ্যাকাউন্ট

পুঁজিবাজারে দরপতনে তলানিতে নেমে গেছে বিও হিসাব খোলার সংখ্যা। বছরের শুরুতে বিও খোলার হিড়িক থাকলেও পতনের কারণে ক্রমেই তা হ্রাস পেতে শুরু করে। সর্বশেষ গত মাসে (এপ্রিল) তা চার হাজারে নেমে এসেছে। যা চলতি বছরের সর্বনিম্ন। তবে বাজার ঘুরে দাঁড়ালে এ পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাজারে নতুন বিও অ্যাকাউন্ট খোলা হয় ৪০ হাজার। পরের মাসে তা নেমে আসে ১৯ হাজারে। পতনের জেরে মার্চে তা নেমে আসে আট হাজারে। সর্বশেষ এপ্রিলে তা নেমে আসে মাত্র চার হাজার ২৮৫টিতে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

বিদায়ী বছরে নির্বাচনের পরপরই ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। এ সময়ে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক পড়ে। পরবর্তীকালে হঠাৎ করেই পুঁজিবাজারে ছন্দপতন দেখা দেয়, যা গত চার মাস অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাজারের প্রতি আগ্রহ কমেছে সাধারণ মানুষের, যার প্রভাব পড়েছে বিও অ্যাকাউন্ট খোলায়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এপ্রিল শেষে বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৫টিতে। আগের মাসে যে সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৪৪ হাজার। ফেব্রুয়ারি শেষে এ সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৬২টি।
বর্তমানে যে বিও রয়েছে, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীর বিও সংখ্যা ২০ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭২টি। আর নারীদের বিও রয়েছে সাত লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৯টি। এছাড়া কোম্পানির বিও রয়েছে ১৩ হাজার ১৪৬টি।

এ প্রসঙ্গে ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, বছরের শুরু থেকেই পুঁজিবাজার খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। যে কারণে বাজারের প্রতি সবারই অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিও অ্যাকাউন্ট খোলায়। আশা করছি এ পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না। বাজার পরিস্থিতি বদলে গেলে বিও অ্যাকাউন্টও বাড়তে শুরু করবে।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর তফসিল-৪ অনুযায়ী বিও হিসাব পরিচালনার জন্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী বা বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত হারে বার্ষিক হিসাবরক্ষণ ফি দিয়ে হিসাব নবায়ন করতে হয়। এর আগে পঞ্জিকাবর্ষ হিসেবে প্রতি বছর ডিসেম্বরে এই ফি জমা নেওয়া হতো। তবে ২০১০ সালের জুন মাসে বিএসইসি বিও হিসাব নবায়নের সময় পরিবর্তন করে বার্ষিক ফি প্রদানের সময় জুন মাস নির্ধারণ করে। এ সময় বিও নবায়ন ফি ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়। এরপর বিএসইসির জারি করা ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল এক সার্কুলারে ৩০ জুনের মধ্যে বিও হিসাব নবায়নের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। না হলে তা বাতিল করা হবে বলে ওই সার্কুলারে বলা হয়েছিল। বর্তমানে বিও নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০ টাকা।

মূলত ২০১০ সালের পর থেকে বিও অ্যাকাউন্ট উল্লেখযোগ্য হারে কমতে থাকে। বর্তমানে মোট বিও অ্যাকাউন্টের অর্ধেকের বেশি হচ্ছে শেয়ারশূন্য। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে মোট বিওর মধ্যে শেয়ারশূন্য এবং ব্যবহার করা হচ্ছে না এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।

প্রসঙ্গত, গত বছর সময়মতো বিও ফি পরিশোধ না করায় বাতিল হয়ে গেছে প্রায় আড়াই লাখ অ্যাকাউন্ট। সেকেন্ডারি মার্কেটের মন্দা পরিস্থিতি, সে সঙ্গে আইপিও বাজারের নাজুক পরিস্থিতির জন্য এসব অ্যাকাউন্ট ঝরে গেছে বলে মনে করেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।
নিয়মানুযায়ী জুন মাসে বিও ফি পরিশোধ না করলে সেসব অ্যাকাউন্ট এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যেসব হিসাবে শেয়ার কিংবা টাকা থাকে, সেসব হিসাব বন্ধ হয় না।

Facebook Comments Box

Posted ১:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ মে ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।