| রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪ | প্রিন্ট | 51 বার পঠিত
দেড় মাসের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে সাড়ে ৩২ হাজার বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে চলতি জুলাই মাসের দুই সপ্তাহে শেয়ারবাজারে ১৬ হাজার ৪৭৯টি এবং গত জুনে বন্ধ ১৬ হাজার ৮২টি বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে। সিডিবিএল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন বিও অ্যাকাউন্ট খোলার পর এখনও শেয়ার কেনা হয়নি, এমন বিও হিসাব রয়েছে ৭২ হাজার ৪৫৮টি।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১১ জুলাই শেয়ারবাজারে মোট বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৭টি। গত ৩০ মে ছিল ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২২৮টি।
সর্বশেষ তথ্যমতে, সক্রিয় বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ১৩ লাখ ৬ হাজার ১৬৮টিতে কম-বেশি শেয়ার ছিল। তবে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪১টিতে কোনো শেয়ার ছিল না।
সর্বশেষ ১০ ও ১১ জুলাই দুই দিনে ৬ হাজার ২০৬টি বিও হিসাবে নতুন করে শেয়ার কেনা হয়েছে। এই সময়ে টেকনো ড্রাগসের আইপিও শেয়ার বিওতে বণ্টন হওয়া এই বৃদ্ধির কারণ হতে পারে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা চার মাস মন্দায় ছিল শেয়ারবাজার। এই সময়ে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে হিসাব বন্ধ করেছে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১২ জুন থেকে টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল শেয়ারদর। তবে এতে আকৃষ্ট হয়ে নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে– এমন প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায়নি।
ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, অ্যাকাউন্টে শেয়ার থাকুক বা না থাকুক, অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনা নবায়ন ফি বাবদ ৪৫০ টাকা থেকে সিডিবিএলকে ৩৫০ টাকা দিতে হয়, যার ২০০ টাকা পায় সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নেয় ৫০ টাকা।
শেয়ার না থাকা হিসাবের গ্রাহক ওই হিসাব আর কখনও ব্যবহার না করলে ৩৫০ টাকার ক্ষতির পুরোটা প্রতিষ্ঠানের। এই কারণে জুন ও জুলাই জুড়ে ব্রোকারেজ হাউসগুলো নিষ্ক্রিয় হিসাবগুলো বন্ধ করে দেয়।
Posted ১:২৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪
bankbimaarthonity.com | saed khan