মঙ্গলবার ২৪ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

ধানের ক্রেতা না থাকায় ঈদ আনন্দ নেই কৃষকের ঘরে

বিবিএনিউজ.নেট   |   বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   844 বার পঠিত

ধানের ক্রেতা না থাকায় ঈদ আনন্দ নেই কৃষকের ঘরে

বোরো ধানের কম দাম এবং ক্রেতা না থাকায় চরম হতাশায় দিন পার করছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। ধান বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাও তুলতে পারছে না। তাই ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে এলেও সেই আনন্দ নেই কৃষক পরিবারে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬২ হাজার ৩৬০ হেক্টর। আর অর্জিত হয়েছে ৬২ হাজার ৩৫০ হেক্টর। উৎপাদন গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর প্রতি হেক্টরে চাল উৎপাদন হয়েছিল তিন দশমিক আট টন আর এবার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে চার টন। তবে আশানুরূপ ফলন হলেও ধান উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সব উপাদানের দাম বেশি থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছে চাষি। আমন মৌসুমের ধান ব্যবসায়ীদের ঘরে জমে থাকায় ধান কেনায় তেমন আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। তাই ৩০০ টাকা মণ দরেও ক্রেতা মিলছে না।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের এক হাজার ৬৯০টি হাসকিং মিল ও ১৭টি অটোরাইস মিলের মাধ্যমে ৩০ হাজার ৬১৯ টন চাল এবং কৃষকের কাছ থেকে এক হাজার ৮৫৭ টন ধান কিনবে সরকার, যা উৎপাদনের তুলনায় সামান্য।
সদর উপজেলার কশালবাড়ি গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, বর্তমানে জেলার হাট-বাজারগুলোয় প্রতি মণ ধান ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে ৬০০-৬৫০ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে আর ধান চাষ করবেন না।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজু জানান, বিদেশ থেকে চাল আমদানি না করে প্রকৃত মিলারদের নির্বাচিত করলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। এতে কৃষক তার ধানের ন্যায্য দাম পাবে। ভিজিডি, জিআর, কাবিখা ও টিআর কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দ করা চাল কিনে ডিও ব্যবসায়ীরা শর্টার করে এলএসডিতে দিচ্ছে। এ অনিয়ম বন্ধ করা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও কৃষকের দুঃখ লাঘব হবে।

এছাড়া গত আমন মৌসুমের ধান এখনও মিলারদের কাছে মজুত থাকায় ধান কেনার আগ্রহ নেই মিলারদের। মিলাররা যে পরিমাণ বরাদ্দ পেয়েছে, তাতে গত মৌসুমের ধান শেষ হবে না। তবে সরকার যদি আরও বরাদ্দ দেয়, তাহলে ধানের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
কৃষক নেতা মাহবুব আলম রবেল অভিযোগ করেন, সরকার মিলারদের স্বার্থকে গুরুত্ব দিচেছ। ২০১৭ সালে হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যা ও উত্তরাঞ্চলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় ধানের আবাদ কমে যায়। এ অজুহাতে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে। চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা সরকারকে চাল দেয়নি ওই বছর। অথচ এই মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

Facebook Comments Box

Posted ১:০১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11769 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।