শনিবার ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

নাজুক পুঁজিবাজারে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   621 বার পঠিত

নাজুক পুঁজিবাজারে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা

ক্রমেই নাজুক হচ্ছে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি। দিন যতই যাচ্ছে, পতনের আকারও তত বড় হচ্ছে। গত এক মাসে মোট লেনদেন হয়েছে ২১ কার্যদিবস। এর মধ্যে ১২ কার্যদিবসই নিম্নমুখী ছিল ডিএসইর প্রধান সূচক। পতনের সময়ে বেশিরভাগ দিনই ২০ থেকে ৩০ পয়েন্ট করে সূচকের পতন হয়। তবে এর মধ্যে চার দিন বাজারে বড় পতন দেখা যায়। সোমবার ছিল এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন।

এদিকে পতন অব্যাহত থাকায় পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন সাড়ে ২৮ লাখ বিওধারী। কারণ, হাতেগোনা কিছু পোর্টফোলিও ছাড়া প্রতিদিনই অন্যসব পোর্টফোলিও থেকে পুঁজি উধাও হয়ে যাচ্ছে। ফলে লাভের হিসাব বাদ দিয়ে প্রতিদিন কত লোকসান হচ্ছে সে হিসাব কষতে হচ্ছে ছোট-বড় সব ধরনের বিনিয়োগকারীকে।

গত এক মাসের (২১ কার্যদিবস) বাজারচিত্র লক্ষ করলে দেখা যায়, এ সময়ের মধ্যে ৫০ পয়েন্টের বেশি সূচক কমেছে চার দিন। গত ১৮ মার্চ ডিএসইর প্রধান সূচক কমে ৫১ পয়েন্ট। পরবর্তীকালে ২৪ মার্চ সূচকের পতন ঘটে ৫৮ পয়েন্ট। ৩১ মার্চ আবারও ৫৩ পয়েন্ট মাইনাস হয় এই সূচক। সর্বশেষ গতকাল এ পতন আরও বড় হতে দেখা যায়। এদিন সূচকের পতন হয় ৬১ পয়েন্ট। দিন শেষে সূচক স্থির হয় পাঁচ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে, যা সূচকের চলতি বছরের সর্বনিম্ন অবস্থান। গত এক মাসের ব্যবধানে এ সূচকের মোট পতন হয় ৩১৬ পয়েন্ট। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্টের বেশি।

একইভাবে পতনের জেরে লেনদেনও আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। সম্প্রতি লেনদেন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। ডিএসইতে মোট ৪১৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলেন, পুঁজিবাজারে এখনও এমন কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি, যে কারণে বাজার এমন অস্থিতিশীল হবে। তাদের অভিযোগ, পুঁজিবাজারে আবারও রাঘব বোয়ালদের উপস্থিতি সরব হয়েছে। যারা ২০১০ সালে বাজার থেকে নিজেদের ফায়দা হাসিল করেছিল, তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই কৃত্রিমভাবে বাজারের গতিবিধি পরিবর্তন করছে। যে কারণে পুঁজিবাজারের করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে পতন যত বড় হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভও তত বাড়ছে। এর জেরে গতকাল ডিএসইর সমানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। তারা অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত রিপোর্টে যাদের নাম এসেছিল, তাদের বিচার হয়নি। যে কারণে কারসাজিকারীরা এখন আবার বাজার থেকে নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে বাজার পতনের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এর নিয়ন্ত্রক-সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, পুঁজিবাজার এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছে, এখান থেকে চলমান পতন কাম্য নয়। যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা এবি আজিজুল ইসলাম শেয়ার বিজকে বলেন, এই দরপতনে বিশেষ কোনো কারণ আছে বলে মনে করি না। এ বছর ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডাদের মনঃপূত হয়নি। বেশিরভাগ ব্যাংকের প্রবৃদ্ধিও কমে গেছে। ব্যাংক শেয়ার পতনের জন্য এটি একটি কারণ হতে পারে। তবে সার্বিক বাজার পতনের জন্য এটিকে দায়ী করা যায় না।

এ প্রসঙ্গে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, সম্প্রতি লক ফ্রি হওয়া আইপিও শেয়ার ও বোনাস শেয়ারের কারণে বাজারে শেয়ার সংখ্যা বেড়ে গেছে। যে কারণে শেয়ারের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে দরও কমছে। তবে বাজারের চলমান পরিস্থিতির জন্য এসব কিছুকেই দায়ী করা যায় না।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:০৫ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।