• নিউজিল্যান্ডের শক্তির জায়গাগুলো চিহ্নিত রোডসের

    বিবিএনিউজ.নেট | ০৫ জুন ২০১৯ | ১২:১৩ অপরাহ্ণ

    নিউজিল্যান্ডের শক্তির জায়গাগুলো চিহ্নিত রোডসের
    apps

    বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের মাঠে নামার আগে অন্যতম আলোচ্য বিষয়, কিউইদের মূল শক্তির জায়গা গুলো কি কি? লন্ডনের দ্য ওভালের প্রেস বক্সে এমন প্রশ্নের জবাব নাও দিতে পারতেন স্টিভ রোডস।

    ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কোনো একটা জবাবও দিতে পারতেন তিনি। কিংবা উল্টো বলে দিতে পারতেন, রাত পোহালে যাদের সাথে খেলা, সেই দলের শক্তির জায়গাগুলো কি, তা বলে দেব কেন? কিউইদের শক্তির জায়গাগুলো কি, তা আমাদের ভালই জানা। আমরা জানি। তবে সেটা মুখে না বলে সেই শক্তির মোকাবিলার চিন্তাই করছি এবং লাগসই কৌশল আঁটার কথাই ভাবছি।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    কিন্তু স্টিভ রোডস তার ধারে-কাছ দিয়েও গেলেন না। উল্টো সহজ সরল ভাষায় বলে দিলেন, নিউজিল্যান্ডের শক্তির আসল জায়গা হলো তাদের বোলিং। দলটির একটা ভাল বোলিং ইউনিট আছে, যাদের উইকেট শিকারের ক্ষমতা-সামর্থ্য দুই’ই বেশি।

    কিউই বোলিং লাইন আপে আছেন ট্রেন্ট বোল্টের মত একজন বেশ উঁচু মানের ফাস্ট বোলার। আর দলটির ফিল্ডিংটাও বেশ পাকাপোক্ত।


    ব্যাটিং? তবে কি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং আহামরি নয়? রোডসের জবাব, নাহ তা হবে কেন? ব্যাটিংটাও ভাল। ওপরের দিকে হার্ড হিটার আছেন কয়েকজন, যারা পাওয়ার প্লে’তে রানের চাকা সচল করতে পারেন। আর আছে কেনে উইলিয়ামসনের মত পরিপাটি ব্যাটিং শৈলির এক উইলোবাজ। যিনি একাই ব্যাটিংকে টেনে নিতে পারেন।

    বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস খুব বড় আর নামী ক্রিকেট বোদ্ধা নন। তারপরও প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড সম্পর্কে তার মূল্যায়ন-পছন্দ হবে যে কোন বড় পন্ডিতের মতই। কোচের ব্যাখ্যায় পরিষ্কার, বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে বেশ খুঁটিয়ে দেখছে। দলটির শক্তির জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সঠিক ও লাগসই পাল্টা কৌশলও আঁটছেন।

    নিউজিল্যান্ডের মূল শক্তি হলো, একটা ভাল ও শানিত বোলিং ইউনিট, যে ইউনিটের আছে উইকেট শিকারের সহজাত ক্ষমতা। ওই মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ট্রেন্ট বোল্ট।

    ইতিহাস ও পসিংখ্যান জানাচ্ছে, এই বিশ্বমানের ফাস্ট বোলারকে ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে আর মাত্র দুই বছর আগে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফে বেশ ভালোভাবেই সামলেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সে মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাকিবেরও আছে সেঞ্চুরি। চার বছর আগে সৌম্য সরকারও ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন।

    কিন্তু তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহীমের মোটেই ইনিংস নেই। এক নম্বর ওপেনার তামিম ২০১৫ সালে হ্যামিল্টনে ফিরে গিয়েছিলেন ১৩ রানে। আর কার্ডিফে রিয়াদ-সাকিবের জোড়া শতকের ম্যাচে তামিম ফিরে গিয়েছিলেন শূন্য রানে। মুশফিকের অবস্থাও তেমনি। হ্যামিল্টনে গত বিশ্বকাপে ১৫ আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১৪ রানে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি।

    কাজেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ দুই ব্যাটিং স্তম্ভের ভাল খেলা এবং বড় ইনিংস উপহার দেয়া রীতিমত পাওনা হয়ে গেছে। তামিম-মুশফিক কি সে পাওনা চুকিয়ে দেবেন এবার? যদি দিতে পারেন, তাহলে নিউজিল্যান্ডের দক্ষ উইকেট শিকারী বোলিং ইউনিটকে অকার্যকর করা অসম্ভব কিছু নয়।

    আর কেন উইলিয়ামসকে রুখতে এক সাকিবই যথেষ্ঠ। গত বিশ্বকাপে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করে অল্পের জন্য দল জেতাতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার মানে একটু বেশি রান দিয়ে (৪/৫৫) ফেলেছিলেন। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং খুঁটি কেন উইলিয়ামসকে ১ রানে ফিরিয়ে দিয়েও হাসিমুখে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পারেননি সাকিব। দুই বোলার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি আর টিম সাউদি অষ্টম উইকেটে মাত্র ৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২১ রান তুলে হাসি কেড়ে নিয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের।

    এবার ফর্মে থাকা সাকিব তেতে আছেন সামর্থ্যের সেরাটা উপহার দিতে। তার ব্যাট ও বলের ঔজ্জ্বল্যের সামনে কিউইরা কি এবার কুলিয়ে উঠতে পারবে?

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:১৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ জুন ২০১৯

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    ছোটপর্দায় আজকের খেলা

    ০৪ জানুয়ারি ২০১৯

    ছিটকে পড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া

    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

    Archive Calendar

  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি