বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট | 519 বার পঠিত
‘নিরাপদ’ হবে দেশের একমাত্র পরিপূর্ণ প্রাইভেটকার ইন্স্যুরেন্স পলিসি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নতুন ইন্স্যুরেন্স পলিসি “নিরাপদ” বীমা চালু করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বাঙ্গীন অনলাইন নির্ভর প্রাইভেটকার ইন্স্যুরেন্স পলিসি। নিরাপদ সড়ক গড়তে সরকার যখন সড়ক নিরাপত্তা তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে, তখনই সড়কে মৃত্যুর মিছিল কমাতে ও আহত-নিহত ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে ভুমিকা রাখতে নিটল ইন্স্যুরেন্সের এই উদ্যোগ। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে এই পলিসির উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটি।
এই সময় বক্তব্য রাখেন আইডিআরএর চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊধ্র্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও নিটল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান এ.কে.এম মনিরুল হক।
‘নিরাপদ’ প্রাইভেটকার পলিসির সুবিধার মধ্যে রয়েছে- অনলাইন মাধ্যমে তাৎক্ষণিক পলিসি ইস্যু; কোনো সার্ভে ছাড়াই অনলাইনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধ; গাড়ি টেনে নিতে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি প্রদান; মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ; ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের ক্ষতিপূরণ।
এ ছাড়াও রয়েছে বিনামূল্যে ভেহিক্যাল ট্র্যাকার স্থাপন; পিসি বা পিডিএ ব্যবহার করে গুগল ম্যাপে গাড়ির সঠিক অবস্থান জানা; চুরি বা অন্য কোনো কারণসহ যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে নিজের মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ বা গাড়ির ইঞ্জিন ব্লক করা; গাড়ির চলাচল সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ; ২৪ কার্যদিবসের মধ্যে জরিপ কাজ সম্পন্ন এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বীমাদাবি নিষ্পত্তি সুবিধা।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলেন, নিরাপদ বীমা গাড়ির নিজস্ব ক্ষতি. তৃতীয় পক্ষের শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি/মৃত্যু ও সম্পদের ক্ষতি, ব্যক্তিগত দুর্ঘটনার দায়বদ্ধতাসহ গাড়ির ট্র্যাকার- ও কভার করবে। এছাড়া এই পলিসি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কভারেজ ও বিবিধ বিষয়েরও সহায়তা প্রদান করবে।
আইন অনুযায়ী, প্রতিটি যানবাহনের দুর্ঘটনা বা ঝুঁকির বিপরীতে ‘অ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স’ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। তাছাড়া এই বীমা না করলে যানবাহনের নিবন্ধন লাইসেন্স দেওয়া হয় না। এমনকি বীমা না করা থাকলে জরিমানা আদায়সহ মামলা দেয় ট্রাফিক। কিন্তু আদায় করা টাকার কোনো অংশই ভুক্তভোগীরা পান না। তবে এই ইন্স্যুরেন্সের মাধ্যমে এমন অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো।
Posted ২:২৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জুলাই ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed