
আদম মালেক | শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট | 615 বার পঠিত
কৃষকের নিকট থেকে পাট ক্রয় এবং পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানির জন্য উদ্দীপক সুবিধা প্রদানে পাট খাতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার ২শ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩ শ কোটি টাকা হয়েছে। সুদের হারও ১ শতাংশ কমেছে। তবে এ ঋণে বেশ কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের আগ্রহ নেই কিছু বিদেশী ও ইসলামী শরিয়ায় পরিচালিত ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র মতে, পাট খাতে পুনঃঅর্থায়ন ঋণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আগ্রহ জানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠায়। ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২৪টি ব্যাংক চিঠির জবাব দেয়। ব্যাংকগুলোর মধ্যে বিদেশী সিটি ব্যাংক-এনএ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ও এইচএসবিসি পাটখাতে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ গ্রহণ করবে না। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, স্যোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ইসলামী আদর্শের পরিপন্থী বিধায় এ ঋণ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এ ঋণ বিতরণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে সূত্র জানায়।
১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবিশিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে আবারও চিঠি পাঠায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রমতে, পাটখাতকে সহায়তা করার জন্য ২০১৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ বছরের জন্য ২শ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে। এ তহবিলের ৪০ শতাংশ সরকারি পাটকল, ৪০ শতাংশ বেসরকারি পাটকল ও ২০ শতাংশ পাট ব্যবসাীয়দের জন্য বরাদ্দ করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে এ পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ শেষ হয়। পাটখাতের বিকাশে গেল মাসের ২৩ জুন এ তহবিলের আকার একশ কোটি বাড়িয়ে তিনশ কোটি টাকা করা হয়।
২০২৪ সালের ২২ জুন এ তহবিলের মেয়াদ শেষ হবে।
ব্যাংকগুলো আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ হারে পুনঃঅর্থায়ন ঋণ সুবিধা নিয়ে পাটকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ৯ শতাংশ সুদ গ্রহণ করতো। কিন্তু বর্তমান তহবিলের আওতায় ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সুদহারে প্রতি ষান্মাসিকে সুদাসলের একটি নির্দিষ্ট হারে পরিশোধ হওয়া সাপেক্ষে পাটকল ও পাট ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদান করবে।
Posted ১১:০০ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed