৮ম রমজান

ইফতারের সময় বাকি আছে

00 ঘন্টা
00 মিনিট
00 সেকেন্ড

ইফতারের সময় হয়েছে।
ইফতার করুন।

শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য

সেহরির সময় বাকি আছে

00 ঘন্টা
00 মিনিট
00 সেকেন্ড

শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য

Advertisement
  • বিনিয়োগকারীদের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সন্তোষ প্রকাশ

    পিপলস ইন্স্যুরেন্সের এজিএমে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

    নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ জুন ২০২১ | ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

    পিপলস ইন্স্যুরেন্সের এজিএমে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
    apps

    সমাপ্ত ২০২০ সালে ব্যবসায়িক অগ্রগতি, লভ্যাংশ প্রদানের প্রবৃদ্ধি এবং সুচারুভাবে বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন করায় বিনিয়োগকারীদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছে পুঁজিবাজারভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান পিপলস  ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সভাটির আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ পাটোয়ারী। উপদেষ্টা জনাব এম. এইচ. খালেদ, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব এস. এম. আজিজুল হোসেন, কোম্পানীর প্রাক্তণ চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব শেখ মো. সরফরাজ হোসেন।

    প্রতিষ্ঠানটির ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট প্রিমিয়াম ৬২ কোটি ৪৫ লাখের বিপরীতে নিট প্রিমিয়াম হয়েছে ৩৪ কোটি ৮ লাখ টাক। আগের বছর এক্ষেত্রে ছিল ৭১ কোটি ৮ লাখ টাকার বিপরীতে ৪২ কোটি ৭ লাখ টাকা। তবে অবলিখন মুনাফার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি চমক দেখিয়েছে। আলোচ্য বছরে এ খাতে মুনাফা হয়েছে ৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা এর আগের বছর ছিল ৫৯ লাখ টাকা। এছাড়া করপূর্ব ও কর পরবর্তী মুনাফার ক্ষেত্রেও সাফল্য দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    এদিকে শেয়ারহোল্ডার ইক্যুয়িটি ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ১৩২ কোটি ১৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এসময় মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যা ২০১৯ সালে ছিল ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এছাড়া শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২.২৬ টাকা এবং ২৮.৬০ টাকা, যা আগের বছর ছিল ১.৮৭ টাকা এবং ২৭.১৪ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির এমন ব্যবসায়িক অগ্রগতির কারনে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ।

    আলোচ্য বছরে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের এমন পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিনিয়োগকারীরা। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের কমেন্ট বক্সে তারা কোম্পানির এমন সফলতায় উচ্ছাস প্রকাশ করেন। আফসার উদ্দিন সরকার নামে এক বিনিয়োগকারী জানান- গত বছরের ন্যায় এবারও কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে বিনিয়োগকারীদের ১১শতাংশ ডিভিডেন্ট প্রদান করায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞ। মূলত শক্তিশালী পরিচালনা পর্ষদের জন্যই মহামারীর মাঝেও এমন লভ্যাংশ দেয়া সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামীতেও প্রতিষ্ঠানটি ক্যাশ ডিভিডেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। পরিচালনা পর্ষদের প্রতি পরামর্শ রেখে তিনি বলেন- গত বছর এবং এই বছরটা যেহেতু মহামারির মধ্যেই যাচ্ছে, সেহেতু কোম্পানিকে খুবই হিসাব করে চলতে হবে। তাহলে ডিভিডেন্ট বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।


    সাইফুদ্দিন আহম্মেদ ভূঁইয়া নামে আরেক বিনিয়োগকারী বলেন- করোনা মহামারির মধ্যেও পিপলস্ ইন্স্যুরেন্স বেশ সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য কোম্পানি চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা সদস্যের সঠিক দিক নির্দেশনা, বিচক্ষনতা এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার যোগ্য ব্যবস্থাপনা কৃতিত্বের দাবীদার। প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে আমরা নিয়মিত লভ্যাংশ পেয়ে আসছি। এদিকে বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সুশৃঙ্খল ও সুচারুভাবে এজিএম সম্পন্ন করায় পরিচালনা পর্ষদের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অনেক বিনিয়োগকারী।

    তবে কোম্পানির এমন সফলতার পরেও দু’এক ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে পড়ায় পরিচালনা পর্ষদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন কয়েকজন বিনিয়োগকারী। আবুল বাশার হাওলাদার নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন- পিপলস্ ইন্স্যুরেন্স ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর প্রায় ৩৭ বছর অতিবাহিত হতে চলছে। অনেক পুরাতন কোম্পানী হওয়া সত্বেও আমরা আশানুরুপ ব্যবসা পাচ্ছি না। নন লাইফ বীমা কোম্পানীর মধ্যে অন্যান্য কোম্পানীর তুলনায় পিপলস্ ইন্স্যুরেন্সের বিমা ব্যবসা তেমন ভাল না। বিশেষ করে অবলিখন মুনাফা, মোট প্রিমিয়াম, নিট প্রিমিয়াম অনেক কম। তিনি জানান- অন্যান্য আয় (যেমন: ফ্লোর ভাড়া, এফডিআর থেকে আয়) বাড়লেও তাতে ব্যবস্থাপনা পর্ষদের কোন ভূমিকা থাকে না। যদি প্রধান কার্যালয় নিজস্ব ভবনে না হয়ে ভাড়া দিতে হতো তাহলে দেনায় পড়তো প্রতিষ্ঠানটি।

    গোলাম ফারুক নামে আরেকজন বিনিয়োগকারী প্রশ্ন রেখে বলেন- ২০১৯ সালে সারা দেশের বীমা ব্যাবসা ছিল ৪৭১৮ কোটি টাকা, ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ৪৪০২ কোটি টাকা। ঋনাত্বক প্রবৃদ্ধি ৬.৭০ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালে পিপল্স ইন্স্যুরেন্সের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি কমেছে ১২.১৪ শতাংশ। বীমা খাতের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির চেয়েও নিচে নেমে গেছে এই কোম্পানির ব্যবসা। এছাড়া রি-ইন্সুরেন্স পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পর্যাপ্ত রি-ইন্সুরেন্স এর কভারেজ রাখা হয়নি। যে কোন একটি বড় ক্লেইম কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি নাড়িয়ে দিতে পারে।

    সভায় বিনিয়োগকারীদের এসব প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানির চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা। কোম্পানির সার্বিক সাফল্য এবং সুষ্ঠভাবে এজিএম সম্পন্ন করায় তারা বিনিয়োগকারীদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

     

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি