নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 478 বার পঠিত
নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সঙ্কটে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে গত ২৭ মার্চ থেকে পুঁজিবাজারে বন্ধ আছে লেনদেন। এতে স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, বিনিয়োগকারী-সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে যেসব বিনিয়োগকারী মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন, তারা পড়েছেন চরম বিপদে। বাজার বন্ধ থাকলেও তাদের ঋণের পরিমাণ সুদে-আসলে বাড়ছে। এমন অবস্থায় পুঁজিবাজারে করোনার প্রভাব মোকাবেলায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে পাঠানো হয়েছে।
সিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রস্তাবে ৪৫০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বিনিয়োগকারীদের জন্য, মধ্যে মার্জিন ঋণের সুদে ভর্তুকি হিসেবে ৪০০ কোটি টাকা ও বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন ফি মওকুফের মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
সিএসই বলছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যারা ব্রোকারেজ হাউজ থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছে, অর্থনৈতিক এ দুরবস্থার পর তাদের অনেকের পক্ষেই পাহাড়সম সুদ পরিশোধ সম্ভব হবে না। তাই সরকার ৪০০ কোটি টাকার নগদ ভর্তুকি অথবা ছয় মাসের সমপরিমাণ সুদ মুকুফের ব্যবস্থা করতে পারে।
এছাড়া প্রতি বছর সারা দেশের ২৫ লাখ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন ফি হিসেবে যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নেয়, তাও মওকুফ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সিএসইর ব্রোকারদের জন্য স্বল্প সুদে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে সিএসই।
পুঁজিবাজারে ছুটির কারণে ব্রোকারদের ও ডিলারদের কোনো উপার্জন হয়নি। তাই তাদের কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস দিতে ৮০ কোটি টাকা চেয়েছে।
এছাড়া করপোরেট কর হিসেবে ২০ কোটি টাকার ছাড় চেয়েছে সিএসই। অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ কর হারের বদলে এবার ১০ শতাংশ হারে কর দিতে চায় সিএসই।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম ও সিএসই পরিচালকরা এবিষয় সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
Posted ১২:০১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan