
বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 414 বার পঠিত
দেশে শিল্পে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের সিদ্ধান্তে ব্যাংকঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। এ কারণে ব্যাংকঋণের সুদ কমার পরও শিল্পোদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেননি। শিল্পে বিনিয়োগ না হওয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ পুঁজিবাজারমুখী হয়। তাতে করোনার মধ্যেও তরতর করে বাড়তে থাকে সূচক ও লেনদেন।
এ অবস্থায় ব্যাংকের মতো পুঁজিবাজারের মার্জিন ঋণের সুদহারও প্রথমবারের মতো বেঁধে দিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর তাতে কিছুটা স্বস্তি মিলবে ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের। আবার নতুন করে ঋণ করে শেয়ার কেনার প্রবণতাও বেড়ে যাবে বলে মনে হয়। কারণ মার্জিন ঋণের সুদহার বেঁধে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ। সম্প্রতি বিএসইসির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শেয়ারের বিপরীতে বিতরণ করা ঋণের বর্তমান সুদহার প্রতিষ্ঠানভেদে ১২-১৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে চক্রবৃদ্ধি হিসাবের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রকৃত সুদহার বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ শতাংশ পর্যন্ত। পুঁজিবাজারে সুদের হিসাব কষা হয় দিনের হিসাবে। যখন কোনো বিনিয়োগকারী শেয়ারের বিপরীতে ঋণ নেন, তখন ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ারের পোর্টফোলিও বা পত্রকোষ জিম্মায় থাকে।
নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট একটি সীমার নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক শেয়ার বিক্রি (ফোর্সড সেল) করে দিয়ে ঋণ সমন্বয় করে। আর বাজারে শেয়ারের দাম বাড়তে থাকলে তাতে ঋণ নেয়ার সক্ষমতাও বেড়ে যায় প্রতিদিন। এ কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্জিন ঋণের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নিশ্চয়ই নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনেক ভেবেছে। আর তাদের ভাবনার সুফল হিসেবে পদক্ষেপটি নেয়া হয়েছে বলেই আমাদের ধারণা। এতে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে। যার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে এবং বাজার এর মধ্য দিয়ে উপকৃত হবে।
Posted ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed