| বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 283 বার পঠিত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করায় বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের কার্যক্রম স্থগিত করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি ‘পেসেনজ লিমিটেড’-এর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
১৯ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে পেসেনজকে তাদের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বাজারের সব অবৈধ ই-পেমেন্ট গেটওয়ের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া হবে। যারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করবে, কেবল তারাই লাইসেন্স পাবে। পেসেনজ লিমিটেড লাইসেন্সের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করলেও তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক ছিল না। এ জন্য তাদের লাইসেন্স দেয়া হয়নি।
অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েটি ২০১৯ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল।
এর আগে ফস্টার পেমেন্ট নামে আরেকটি গেটওয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের সত্যতাও স্বীকার করে ওই প্রতিষ্ঠান।
ফস্টার পেমেন্টের হেড অব পিআর মুনতাসির আহমেদ বলেন, ‘২০১৬ সালে লাইসেন্স অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়। এটা চলমান প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এনওসির (নো অবজেকশন লেটার) মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে এখন পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটর বা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। আর চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
পাঁচ পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটর (পিএসও) হলো আইটি কনসালট্যান্টস, এসএসএল কমার্জ, সূর্যমুখী লিমিটেড, প্রগতি সিস্টেম ও পর্টোনিক্স লিমিটেড।
অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নথিপত্র জমা দিয়েছে আমার পে, ইজি পে ওয়ে, পে স্পেস, ওয়ালেট মিক্স ও ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে।
এর বাইরে আরও সেবা দিচ্ছে বিডি স্মার্ট পে, বিটিটি পে, পোর্ট ওয়ালেট, টু চেক-আউটসহ আরও কয়েকটি পিএসও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালে পেমেন্ট গেটওয়ে সংক্রান্ত নীতিমালা হলেও দেশে পেমেন্ট গেটওয়েগুলো অপারেট করছে ২০১১ থেকে। কোনো কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে তারও পুরনো।
নীতিমালার পর ওইসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করে জানতে চায় তারা ব্যবসা চালু রাখবে নাকি বন্ধ করে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন ওইসব প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার নির্দেশনা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলো পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার আবেদন করে। লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করছে এসব প্রতিষ্ঠান।
Posted ৬:১৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy