শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ইসির

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   636 বার পঠিত

পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ইসির

আসন্ন সব পৌরসভা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায় তিনশ’ পৌর সভায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইসির দাবি এতে করে রাতের বেলা ব্যালট পেপারে সিল মারা ঠেকানো যাবে। এছাড়া আগামীর সব নির্বাচন সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরুও পরিকল্পনা করছে ইসি।

এর আগে ২০১২ সালে ইভিএমে প্রথম পৌরসভায় ভোট হয়েছিল। সেবার মেয়র পদে নরসিংদী পৌরসভার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট ও এসএমএস এর মাধ্যমে ফল প্রকাশ করে তৎকালীন ইসি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের শেষদিকে মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে পৌর ভোট হবে। এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশজুড়ে একদিনেই প্রায় আড়াইশ’ পৌরসভায় নির্বাচন হয়। তবে এখন বেড়ে দেশে বর্তমানে অন্তত ৩২৮টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচন উপজেলা নির্বাচনের পর হবে।

গত সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রেই ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা আছে। আর সকালে শুধু ইভিএম নয়; প্রিসাইডিং কর্মকর্তাও সব মালামাল নিয়ে সকালে যাবে।’

তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রে যে অনিয়মগুলো হয়ে থাকে সেই অনিয়মগুলো দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর একটি হলো প্রযুক্তির ব্যবহার। এজন্য আমরা সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব কেন্দ্র খুব কাছাকাছি সেসব কেন্দ্রে সকালে ব্যালট ইউনিট পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা একটি সিদ্ধান্ত এরকমভাবে গ্রহণ করেছি আসন্ন যে পৌরসভা নির্বাচনগুলো হবে সেগুলোতে ব্যালটব্যাপারগুলো সকালে পাঠাবো। এবং সকাল ৮টার পরিবর্তে সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

যেখানে সকালে প্রশ্নপত্র পাঠানো সম্ভব সেখানে অবশ্যই সকালে ব্যালট (ইভিএম ইউনিট) পাঠানো সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন ইসি সচিব।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ইভিএম সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে ব্যবহার করা যায় না। সকাল ৮টার আগে এটি ওপেন করার কোনো সুযোগ নাই। আমরা যদি ভোট সকাল ৯টায় শুরু করি এর আগে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ নাই। ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে।’

জানা যায়, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে চার ধাপে আড়াই শতাধিক পৌরসভার ভোটে প্রার্থীরা দলের সমর্থন নিয়ে ভোট করেছিল। সেই সময় ফল ঘোষণা করা ২৪৭টি পৌরসভার মধ্যে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৬ পৌরসভায় নির্বাচিত হন। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জিতেন ৯৪টি পৌরসভায়। এই দুই দলের বিদ্রোহীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২১ এবং বিএনপির ৯ জন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্দলীয় প্রার্থীরা ১৮টি পৌরসভায় বিজয়ী হন। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত প্রার্থীরা দু’টি এবং বিএনপির জোট শরিক জামায়াতের ৬ জন মেয়র হন। এই দলগুলোর বাইরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি সমর্থিত প্রার্থী একটি মাত্র পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হন।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ২২৭টি মেয়র পদের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক জিতে ১৭৭টিতে; আর বিএনপির প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২২টিতে জয় পান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোট ‘সুষ্ঠু হয়েছে’ দাবি করলেও বিএনপি ভোটে ‘ব্যাপক কারচুপির’ অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।