বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 807 বার পঠিত
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, প্রবৃদ্ধি এখন ভোগবৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা সামগ্রিক একটি সংস্কার না করে রাজস্ব আয়ে তেমন একটা উন্নয়ন ঘটানো যাবে না। এক দিকে যেমন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে আবার সেখানে সংস্কারও করতে হবে। অবশ্যই এর প্রযুক্তিগত ব্যবহারের মাধ্যমে এটি আদায় করা সম্ভব।
ফাহমিদা বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শুধুমাত্র একটি অবকাঠোমোগত উন্নয়ন নয়। প্রতিষ্ঠানগুলো যে স্বাধীনভাবে কাজ করার যে ব্যবস্থা ও পরিবেশ দরকার সেটি তৈরি না হলে রাজস্ব আয় সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যদি সত্যিকারভাবে খেলাপি ঋণ বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার পরিবর্তন না করে খেলাপি ঋণ আদায় করা যাবে না। শুধু মাত্র কথার কথা লক্ষ্যমাত্রা দিলাম এভাবে হবে না। দেখা যায় স্বেচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। মানুষ আজকাল বড় বড় ঋণগুলো নেয় সেগুলো এই ভেবে নেয় যে আর পরিশোধ করতে হবে না। কারণ সেই প্রতিষ্ঠানগুলো যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেটি পারে না। এখানে একটি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বা প্রভাব থাকে।
তিনি আরো বলেন, খুবই দুঃখজনক যে বাজেটে কৃষকের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এটি যে শুধু কৃষকের সমস্যা তা নয়। এটি সামগ্রিকভাবে বিশ্বেরও একটি সমস্যা। যে কৃষক আমাদের জন্য খাদ্যের যোগান দিচ্ছে তারা যদি প্রণোদনা না পায়, উৎপাদনের যথাযথ মূল্য না পায়, তাহলে আমরা খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। সেখানে আঘাত আসবে। অন্যান্য খাতও গুরুত্বপূর্ণ। গত ৩০- ৩৫ বছর ধরে পোশাক খাতে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দিয়েই আসছে। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি এখন ভোগবৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরণের প্রবৃদ্ধি তো কর্মসংস্থান বাড়াতে পারবে না, বৈষম্য কমাতে পারবে না। প্রবৃদ্ধি তো বৈষম্য এটি শুধু সংখ্যার মধ্যেই আটকে থাকবে।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি
Posted ১২:২৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed