
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ | প্রিন্ট | 169 বার পঠিত
দু’দিনব্যাপী প্লাস্টিক খেলনা পণ্যের প্রদর্শনী ‘টয় এক্সপো’ আজ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে উদ্বোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস প্রকল্প (ইসিফোরজে) এ ”টয় এক্সপো” আয়োজন করে। সকাল ১০টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে টয় এক্সপো উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন সিনিয়র প্রাইভেট স্পেশালিস্ট ও ইসিফোরজে প্রকল্পের টিম লিডার মিসেস হোসনা ফেরদৌস সুমি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও ইসিফোরজে-এর ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শেখ মো. আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)-এর সভাপতি শামীম আহমেদ। দু’দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে আজ (২৩ মে) শুক্রবার।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার তো ধারণাই ছিল না যে বাংলাদেশের প্লাস্টিক খেলনা শিল্প এতটা এগিয়ে গেছে। আমরা গাজীপুরে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও খেলনার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ তৈরীর জন্য কারখানা করছি। আশা করছি এতে করে এ শিল্প আরো এগিয়ে যাবে। বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের তৈরী খেলনার আন্তর্জাতিক চাহিদা বাড়ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে খেলনা রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হবে ২৪ শতাংশ।
উদ্বোধনী অধিবেশনে স্থানীয় ও বিদেশী অতিথি, এফবিসিসিআইয়ের নেতা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দু’দিনব্যাপী এ মেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশী আমলা ও ব্যবসায়ীবৃন্দ অনলাইনে অংশ নেন এবং বক্তব্য দেন। মালয়েশিয়া, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাসেলসসহ অন্যান্য বাংলাদেশী কুটনীতিকবৃন্দ অনলাইনে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
প্লাস্টিক খাতের কয়েকটি সাব সেক্টরের মধ্যে খেলনা একটি। বাংলাদেশে এ সাব সেক্টরের বিকাশ ঘটছে দ্রুতই। বাংলাদেশে খেলনার বাজার প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার। প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠান খেলনা প্রস্তুত করছে, এ খাতে জড়িত প্রায় দেড়লাখ মানুষ। আর ৮৮টি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি খেলনা। দেশে খেলনা ব্যবহারের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানী-বিকল্প উন্নতমানের খেলনা প্রস্তুত হচ্ছে দেশেই ও রপ্তানীও হচ্ছে বিদেশে যার মাধ্যমে বৈদিশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। বিশ্বের ৮৮ দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি খেলনা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের খেলনা রপ্তানি করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
দেশে খেলনা উৎপাদনের কারখানাগুলো কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, ইসলামবাগ, চকবাজার এবং গাজীপুরে অবস্থিত। সাধারণত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, পুরান ঢাকায় বেশিরভাগ কারখানা অবস্থিত। অভ্যন্তরীণ মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ জোগান দিচ্ছে এসব কারখানা। বাকি ২০ শতাংশ এখনও বিদেশ থেকে আনতে হয়।
Posted ৭:২৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
bankbimaarthonity.com | rina sristy