• ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পর্ষদ পুনর্গঠন

    নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ মার্চ ২০২১ | ১২:২২ অপরাহ্ণ

    ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পর্ষদ পুনর্গঠন
    apps

    ৬জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এছাড়া কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবসহ অন্যান্য বিষয়সমূহ যাচাইয়ের জন্য বিশেষ নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গত ২৯ মার্চ এ বিষয়ে বিএসইসি চিঠি ইস্যু করেছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকেও পাঠানো হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    নিয়োগ পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকেরা হলেন- সোনালি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল মকবুই, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এএমডি এহসানুল আজিজ, কিংসনিউজ২৪.কমের সম্পাদক শেখ নাজমুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক সজিব হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সির পরিচালক মোশাররফ হোসাইন ও সিনিয়র কনসালটেন্ট একেএম শহিদুজ্জামান।

    Progoti-Insurance-AAA.jpg

    এর সঙ্গে পর্ষদে থাকবেন ৩জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক। তারা হলেন- সামসুল ইসলাম ভরসা, খাদিজা ওয়াহিদা জাহান ও রিমসা বিডির মনোনিত পরিচালক আশাদুজ্জামান।

    পর্ষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন স্বতন্ত্র পরিচালক আশরাফুল। তবে স্বতন্ত্র পরিচালকেরা কোন দায় নেবেন না।


    ফারইস্ট ফাইন্যান্স ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে গেছে । এই ক্যাটাগরিতে কোম্পানিটি ২ বছর ১১ মাস ধরে লেনদেন হচ্ছে। কিন্তু কোম্পানির পর্ষদ এই দূরবস্থা কাটিয়ে তুলতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। যে কোম্পানিটি ২০১৭ সাল থেকে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে না।

    অন্যদিকে কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোম্পানির কোন সম্পদ বিক্রি, বন্ধকী, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি করা যাবে না বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

    ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয। এর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ২০০ কোটি টাকা ও ১৬৪ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভ মাইনাসে রয়েছে। কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ ১১৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ কোম্পানির ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি শেয়ারের মধ্যে ৪১.৮৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১১.৫৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০৪ শতাংশ বিদেশি এবং ৪৬.৫৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
    উল্লেখ্য, গত ৪ বছর ধরে কোম্পানিটি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদেরকে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

    এদিকে, (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২০)তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.৫৯ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ২.৬৩ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির লোকসান কমেছে ২.০৪ টাকা বা ৭৭.৫৬ শতাংশ।

    এদিকে নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর’২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১.৭০ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৬.০৮ টাকা। সে হিসেবে কোম্পানির লোকসান কমেছে ৪.৩৮ টাকা বা ৭২.০৩ শতাংশ।

    এছাড়া ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ১.১৫ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনএভিপিএস ছিল ২.৮৫ টাকা। আর শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্ল্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৩০ টাকা। যা আগের বছর একই সময় এনওসিএফপিএস ছিল ০.৮১ টাকা ঋণাত্নক।

    Facebook Comments Box

    বাংলাদেশ সময়: ১২:২২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

    bankbimaarthonity.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    Archive Calendar

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০
    ১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
    ১৮১৯২০২১২২২৩২৪
    ২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
  • ফেসবুকে ব্যাংক বীমা অর্থনীতি