নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩ | প্রিন্ট | 288 বার পঠিত
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উল্যাহের বিরুদ্ধে ভয়াবহ প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৩ সাল ২০২১ পর্যন্ত ফ্রি স্টাইলে লেনদেন করেছেন অভিযুক্ত হেমায়েত উল্যাহ।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুদকের উপ পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে অভিযুক্ত মো. হেমায়েত উল্যাহের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ফারইস্ট লাইফের অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলার আসামী হেমায়েত উল্লাহ।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। তিনি জানান, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উল্যাহ প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে ৩ বেসরকারি ব্যাংকে ১৫ টি হিসাব খুলেন এবং উক্ত হিসাবে নিজেকে নমিনি দেখান। পরে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের নামীয় ওই ৩টি ব্যাংকের হিসাব থেকে ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে উল্লেখিত হিসাবে জমা করেন। পরবর্তীতে হিসাবধারী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে/ ব্যতিত বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে নগদে ওই টাকা উত্তোলন করেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উল্যাহ।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক ৭ কর্মকর্তা; সাবেক এসইভিপি সৈয়দ আবদুল মতিন, সাবেক ইভিপি মো. ইব্রাহিম, এসইভিপি মোহাম্মদ আবদুল হালিম, ইভিপি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, ইভিপি মো. মাহবুবুল মাওলা, সাবেক ইভিপি এসএম নুরুল কবীর তৌহীদি ও মোস্তফা জামান হামিলী স্বাধীন জেইভিপি-এদের নামে ওয়ান ব্যাংকের গুলশানে ইসলামি ব্যাংকিং শাখায় হিসাব খোলেন। প্রকৃত পক্ষে তারা ওই ব্যাংকে কোন হিসাব খোলেননি।
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক বসুন্ধারা শাখায় উক্ত ৭ কর্মকর্তার নামে ১৩ টি হিসাব খোলেন অভিযুক্ত মো. হেমায়েত উল্লাহ। একই পদ্ধতিতে অভিযুক্ত হেমায়েত উল্্যাহ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক তোপখানা রোড শাখায় ২টি হিসাব খোলেন। সবগুলো হিসাবের নমিনি রয়েছেন মো. হেমায়েত উল্যাহ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে ১১ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালে এই ৩টি ব্যাংকের হিসাবগুলো ব্যবহার করে হেমায়েত উল্যাহ ৩৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে উল্লেখিত হিসাবে জমা করেন। পরবর্তীতে হিসাবধারী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে/ তার সুবিধা মতো বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে নগদে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
উল্লেখ্য ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সাবেক কর্মকর্তা হেমায়েত উল্যাহ পরিকল্পিতভাবে রাজধানীর ওয়ান ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং গুলশান শাখা, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক বসুন্ধারা শাখা এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক কাওরান বাজার শাখায় হিসাব খোলেন। তবে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক কাওরান বাজার শাখায় লেনদেনের কোন তথ্য এখনো দুদক উদ্ধার করতে পারেনি।
Posted ৯:১২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৯ মে ২০২৩
bankbimaarthonity.com | rina sristy