বিবিএনিউজ.নেট | ০৩ মার্চ ২০২০ | ৩:০৪ অপরাহ্ণ
পেঁয়াজের দাম কমায় ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গীস।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম কমায় ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে পণ্য সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবই। আমরা পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করি। কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করার কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি। পদ্মা সেতুর স্প্যান এখনও দু-একটা বাকি রয়েছে, সেগুলো চীনে তৈরি হয় ফলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা হলে আমাদেরও হবে।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূণ্য ৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ৩:০৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ মার্চ ২০২০
bankbimaarthonity.com | Sajeed