বিবিএ নিউজ.নেট | ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
করোনার অজুহাতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ নয়, করোনাকালে ঝুঁকি ও মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান এবং দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি পুন:নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট।
আজ সোমবার দুপুরে সংগঠনের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
করোনার অজুহাতে স্বল্প বেতনের গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাৎসরিক পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত করতে বিকেএমইএ এবং বিজিএমইএ-এর প্রচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলেন, দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাক শিল্পের উৎপাদনের চাকা সচল রাখতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শ্রম এই শিল্পের প্রধান ভিত্তি হলেও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মালিক কিংবা সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না।
তারা বলেন, গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা প্রণোদনা গ্রহণ করার পরও প্রণোদনা প্রাপ্ত কারখানা থেকে হাজার-হাজার শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী এবং পুষ্টি মানসম্পন্ন খাদ্যের প্রয়োজনে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও মালিকরা শ্রমিকদের রক্ষার দায়িত্ব অস্বীকার করে বরং ৩৫ শতাংশ কম মজুরি দিয়েছে। উৎসব ভাতা অর্ধেক দিয়েছে। এখন বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রাখার অবেদন করেছে।
বক্তারা বলেন, সামান্য ইনক্রিমেন্ট বন্ধের এই আবেদন প্রমাণ করে গার্মেন্টস মালিকরা করোনার অজুহাতে একদিকে সরকারকে চাপ দিয়ে প্রণোদনা সুবিধার নামে জনগণের টাকা পকেটে ঢোকাচ্ছে অপরদিকে শ্রমিকদের মজুরি কম দিয়ে বাড়তি মুনাফা নিশ্চিত করার দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাৎসরিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট আসলে শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি নয় বরং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করার চেষ্টা মাত্র। চলতি বছরের গড় মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের বেশি আর শ্রমিকদের ব্যবহার্য দ্রব্যের মূল্যস্ফীতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি। তাছাড়া করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী শ্রমিকের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুধু ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাস্তবায়নই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণের দাবি জানান বক্তারা।
তারা বলেন, মজুরি পুনঃনির্ধারণের পূর্ব পর্যন্ত মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের পাশাপাশি করোনাকালে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষাকারী যোদ্ধা হিসেবে পোশাক শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা প্রদান করতে হবে। শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত করতে মালিকদের ন্যক্কারজনক প্রচেষ্টার কারণে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় মালিকদের বহন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy