বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 450 বার পঠিত
সম্প্রতি পুঁজিবাজারে কারসাজির তদন্ত সংক্রান্ত চিঠি প্রত্যাহার করলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির বরাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এর ফলে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কিংবা আয় বাড়িয়ে দেখালেও এর তদন্তের বাধ্যবাধকতা থাকলো না। এতে বাজারের স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হলো কি না সেই প্রশ্নটি থেকেই যাচ্ছে।
বিএসইসির পক্ষে বলা হয়, বাজারের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এটি বাতিল হয়নি। আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কিছু সংশোধন করে পরবর্তীতে আবারো চিঠি দেয়া হতে পারে।
পুঁজিবাজারে কারসাজি চিহ্নিত করতে সম্প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দেয় বিএসইসি। এই চিঠির মূল বক্তব্য ছিল, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করলে তার কারণ চিহ্নিত করা। পাশাপাশি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস), লেনদেন ও মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের আগে-পরে কোম্পানির দর কেমন থাকে তাও নজরে আনার নির্দেশনা ছিল।
এ ব্যাপারে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সামগ্রিকভাবে বিষয়টি ছিল একটি গাইডলাইন। তবে এ চিঠির পর গত বুধবার বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দর কিছুটা কমে যায়। এরপর বিকালে সার্কুলারটি প্রত্যাহার করে নেয় বিএসইসি।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বেড়েছে। কোম্পানির উদ্যোক্তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী। এসব কোম্পানির শেয়ারের দর কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠানগুলোর মৌলভিত্তির সঙ্গে যায় না। বেশ কয়েকটি হাউজ এবং উদ্যোক্তা এর সঙ্গে জড়িত। প্রথমে উদ্যোক্তাদের পক্ষ বিভ্রান্তিকর মূল্যসংবেদনশীল তথ্য দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে হাউজগুলো থেকে অস্বাভাবিকভাবে শেয়ার কিনে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো হচ্ছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ অবস্থায় বিএসইসির পদক্ষেপ ছিল প্রত্যাশিত। তাই বিএসইসি ওই পদক্ষেপ থেকে সরে এলে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এছাড়া পুঁজিবাজারে কোনো ধরনের কারসাজি রয়েছে কিনা সেটিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবার বিষয় হিসেবে সামনে চলে এসেছে।
Posted ২:৩৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | Sajeed