মঙ্গলবার ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Ad
x

বাহারি শাড়ির মেলা বেনারসি পল্লীতে

বিবিএনিউজ.নেট   |   রবিবার, ২৬ মে ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   992 বার পঠিত

বাহারি শাড়ির মেলা বেনারসি পল্লীতে

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর ক’দিন পরেই ধর্মীয় এ উৎসবে উদযাপনে মাতবে দেশবাসী। উৎসব-আয়োজনে বরাবরই ঢাকার বেনারসি শাড়ির কদর বেশ। ঈদকে সামনে রেখেও বেচাকেনা বাড়তে শুরু করেছে মিরপুরের বেনারসি পল্লীতে। নানা বয়সী নারী ও তরুণীরা প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে আসছেন। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে বিকেল বেলা এবং ইফতারের পর ব্যস্ত সময় যায় বিক্রেতাদের।

লাল বেনারসি, ভারকালা আর্ট সিল্ক বেনারসি, ট্র্যাডিশনাল বেনারসি, কাঞ্জিভরম বেনারসি, ঝিলমিল এমব্রয়ডারড বেনারসি, চান্দেরি কটন বেনারসি, ব্ল্যাক কার্পেট উইভড মুঙ্গা কটন বেনারসি প্রভৃতি বাহারি নামের শাড়ি নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।

বেনারসি পল্লী ঘুরে দেখা যায়, লাল, নীল, বেগুনী, সবুজ, কমলা, কালো, আকাশীসহ হরেক রঙের ও নকশার শাড়ি চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানে দোকানে। নানা কারুকাজ আর বুননে বানানো শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে মোহ।

বেনারসি পল্লীতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকতা শিরিন আহমেদের মতে, বাঙালি নারীর প্রথম পছন্দের পোশাক শাড়ি। সেজন্য ঈদে সবথেকে বেশি পছন্দের শাড়িটা কিনতে এই বেনারসি পল্লীতে এসেছেন তিনি। বাহারি রং ও হরেক নকশা দেখে পছন্দের শাড়িটা বেছে নেবেন তিনি।

শিরিন বলেন, ঈদের পরে আমার বোনের বিয়ে। ওর জন্য আর আমার জন্য এখানে শাড়ি কিনতে এসেছি। এখনো শাড়ি পছন্দ হয়নি। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী বলেন, এখানে ভিন্ন ভিন্ন রং ও নকশার শাড়ি পাওয়া যায়। বেনারসি শাড়ি ছাড়াও অন্য শাড়িও পাওয়া যায়। এসেছি দেখতে, পছন্দ হলে কিনে ফেলবো।

দোকানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেনারসি শাড়িতে বর্তমানে প্রথমত মিনা করা কাজ হয়। দ্বিতীয়ত পাথর বসানো হয়। আর কোনো প্রকার নকশার চল কম এখন, বলা যায় ফ্রেশ থাকে বেনারসি।

মিতু কাতান শাড়ি ঘরের ম্যানেজার মো. আকরাম হোসেন বলেন, আমাদের শোরুমে দেশি-বিদেশি সব ধরনের শাড়ি রাখা হয়েছে, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী। আমাদের দেশের নারীরা বিদেশি শাড়ির নাম শুনলে বেশি আকৃষ্ট হয়। যদিও নিজেদের দেশের শাড়িই বেশি ভালো।

অবশ্য অন্য সময়ের তুলনায় বেচাকেনা প্রত্যাশানুযায়ী নেই বলে দাবি আকরামের। তিনি বলেন, ঈদের সময় বেনারসি বিক্রি কম হয়। এখন যারা বেনারসি কেনেন, তাদের কারো না কারো ঈদের পরে বিয়ে। আমাদের শোরুমে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের শাড়িও আছে।

বিক্রি নিয়ে একই সুর রূপ সিঙ্গার বেনারসির বিক্রেতা সাব্বির আহমেদেরও। তিনি বলেন, এ বছর আমাদের বেচাকেনা কম। কেন কম বলতে পারছি না। শুনেছি বড়লোকরা ঈদের শপিং করতে দেশের বাইরে যায়। এ কারণে হয়তো।

ঈদের কথা উল্লেখ করে সাব্বির বলেন, ঈদ ছাড়া আমাদের বেচা-কেনা ভালোই ছিল। আমাদের অন্য সময় বেচাকেনা আল্লাহর রহমতে ভালো থাকে।

গোল্ডেন বেনারসি হাউজের বিক্রেতা মো. অন্তর হোসেন বলেন, রোজার সময় জুমাবার সন্ধ্যায় বেশি বেচাকেনা হয়। এখানে বেচাকেনা হবে ২০ রোজার পরে।

Facebook Comments Box

Posted ১:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11745 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।