বিবিএনিউজ.নেট | শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০১৯ | প্রিন্ট | 592 বার পঠিত
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচের ঠিক ১৮ দিন আগে প্রস্তুতি শুরু করছেন জাতীয় ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। আজ শুরু হবে ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্প।
প্রথমে ২৫ জনের নাম ঘোষণা করেছিল বাফুফে। কোচ ঢাকায় ফিরে সে তালিকায় যোগ করেছেন আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলকে। ২৬ জন থেকে ৩ জন বাদ দিয়ে কোচ ১ সেপ্টেম্বর উড়াল দেবেন তাজিকিস্তানের পথে। দেশটির রাজধানী দুশানবের রিপাবলিকান সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে ১০ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ।
ক্যাম্প শুরুর আগে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জেমি ডে। স্কোয়াডে সদস্য বাড়ানো, প্রস্তুতির পরিকল্পনা এবং দলে আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলকে রাখা নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশকে বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে তোলা এই ইংলিশ কোচ।
২৫ জনের তালিকায় ছিলেন তিন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকু ও শহিদুল আলম সোহেল। আরামবাগের হিমেলকে ডাকায় জেমির হাতে এখন গোলপোস্টের অতন্ত্র প্রহরী ৪ জন। একজনকে মাইনাস করেই তাকে বেছে নিতে হবে সেরা তিনজনকে।
‘আমি সবসময় তিনজন গোলরক্ষক পেতে চাই। হিমেলকে ডাকার কারণ হলো- কেউ চোটে পড়তে পারেন। তখন যেন ৩ জনই আমার হাতে থাকে। সে জন্য গোলরক্ষক বাড়ানো ক্যাম্পে। হিমেল আমার পছন্দের গোলরক্ষক। আমি তাকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ক্যাম্পে দেখতে চাই যাতে তিনজনকে বেছে নিতে পারি’- বলেছেন জেমি ডে।
শহিদুল ইসলাম সোহেলকে ডাকা প্রসঙ্গে জাতীয় দলের কোচ বলেছেন, ‘সোহেল অবশ্যই ভাল গোলরক্ষক। তবে সে মাঝেমধ্যে ভুল করে। আর রানা বেশি ধারাবাহিক। সেও ভুল করতে পারে। গতকাল (বুধবার) রাতে এএফসি কাপের ম্যাচে সোহেলের কারণে আবাহনী তৃতীয় গোলটি হজম করেছে। ওই সময়ে তার ম্যুভমেন্ট আরও ভাল হওয়া উচিত ছিল। তবে এসব জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না। কারণ সবাই ভুল করে। ওপরে জীবন, সোহেল, সাদও ভুল করেছে এ ম্যাচে। আসলে এগুলো খেলারই অংশ।’
ক্যাম্প নিয়ে কোচ বলেছেন, ‘প্রথম সপ্তাহে আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করবো। পাশাপাশি আমরা কি করতে চাই এ সময়ে সেদিকেও মনোনিবেশ করবো। আগামী দিনগুলো নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে আমাদের প্রায় ৩ সপ্তাহ সময় আছে। দ্বিতীয় সপ্তাহে জোড় দিবো ট্যাকটিক্যাল বিষয়গুলোতে।’
‘আফগানিস্তান হোম ভেন্যু হিসেবে টার্ফের মাঠ বেছে নিয়েছে। সেটা আমাদের জন্য কখনই অজুহাত হবে না। দেশে আমরা প্রধানত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করবো। তাজিকিস্তান গিয়ে ম্যাচের আগে পর্যন্ত টার্ফে নিজেদের অভ্যস্ত করে তুলবো। আমরা চেষ্টা করবো যেখানে খেলা হবে সেখানেই ৫-৬ দিন অনুশীলন করার যাতে দলকে পুরোপুরি প্রস্তুত করে তুলতে পারি’- বলেছেন বাংলাদেশ কোচ।
আগের রাতে আবাহনীর ম্যাচটি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন জেমি ডে। সোহেল রানার করা প্রথম গোলটিকে দুর্দান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। ভালো বলেছেন নাবিব নেওয়াজ জীবনের গোলটিকেও। আসলে খেলোয়াড়রা গোল পাওয়া জেমির জন্য স্বস্তির। সোহেল রানা ও জীবনের গোল জাতীয় দলের জার্সিতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেও মনে করছেন জেমি ডে।
Posted ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed